ঢাকা : পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও ভালো কোম্পানি বাজারে আনতে লভ্যাংশের ওপর কর একটা বড় সমস্যা। লভ্যাংশের ওপর কর প্রত্যাহার করলে বাজারে ভালো কোম্পানিগুলো আসতে সহায়ক হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান।
সম্প্রতি আসন্ন বাজেটে বিএমবিএর প্রত্যাশা নিয়ে সোনালী নিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএমবিএ’র প্রেসিডেন্ট বলেন, পুঁজিবাজারে কালো টাকা শর্তহীন বিনিয়োগের সুযোগ দিলে বৃদ্ধি পাবে গতিশীলতা। এছাড়াও দেশীয় শিল্প-অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে। এ ধরনের টাকা দেশে বিনিয়োগের ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তাই কোন প্রকার শর্ত ছাড়াই এ ধরনের অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ সরকার দিবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ছায়েদুর রহমান বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করা প্রয়োজন। বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বৃহৎ কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ। যা হতাশাজনক। পুঁজিবাজারের ধীরগতি, কোভিড-১৯ ব্যবসার সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক অপারেটিংই সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কর্পোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করার বিকল্প কিছু নেই।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই কর হারেও অনেক ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হচ্ছে না। অথচ বাজারে মৌলভিত্তি সম্পন্ন ভালো কোম্পানির যথেষ্ট অভাব রয়েছে। তাই বাজারে ভালো কোম্পানিকে আগ্রহী করে তুলতে এই কর হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করছি।
এখন দেশে এমন অনেক কোম্পানি আছে, যারা ভালো ব্যবসা করেও কম কর দিচ্ছে। কীভাবে কম কর দেওয়া যায় তেমন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। এমন পরিস্থিতিতে করের হার কমিয়ে এসব কোম্পানিকে বাজারে তালিকাভুক্ত করা গেলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে এবং সরকারের রাজস্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
বিএমবিএ’র প্রেসিডেন্ট বলেন, ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে আসতেছে না কারণ তারা ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ পেয়ে যায়। অথচ একি টাকা শেয়ারবাজার থেকে তোলার প্রসেসটা অনেক জটিল তাই তারা যেখানে সহজে পাওয়া যায় সেখান থেকে নেয়। এক্ষেত্রে যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুটিই সরকারি প্রতিষ্ঠান আমরা আশা করবো তাদের সমন্বয়ে এ সমস্যাগুলো সমাধান হবে। ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবে এমন কোম্পানিগুলো বাজারে আসা শুরু করলে শেয়ারবাজারের গ্রোথ কেউ থামাতে পারবে না।
সোনালীনিউজ/এএইচ/এনএন