এ. কে. আজাদ এমপিকে সংবর্ধনায় ব্যবসায়ী নেতারা

সম্পদ ও নেতৃত্ব কখনও তাঁকে বদলাতে পারেনি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার ফরিদপুর-৩ আসনের এমপি ও হা-মীম গ্রুপের এমডি এ. কে. আজাদকে সংবর্ধনা দেয় বিসিআই

ঢাকা : ছাত্রজীবন থেকে এ. কে. আজাদ স্পষ্টভাষী, দৃঢ়চেতা, সজ্জন ও পরোপকারী। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। নিজ গুণে তিনি নেতৃত্বের সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠে চলেছেন। সম্পদ বা বড় নেতৃত্ব তাঁকে বদলাতে পারেনি। নিজ জেলা ফরিদপুরের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি কখনও অন্যের প্রাপ্য আত্মসাৎ করবেন না; বরং পারলে কিছু দেবেন। এ কারণে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও ফরিদপুরবাসী তাঁকে ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন।

জাতীয় সংসদে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য হওয়ায় এ. কে. আজাদকে সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) দেওয়া এক সংবর্ধনা সভায় এসব কথা বলেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ. কে. আজাদ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও বিসিআইর সাবেক সভাপতি। রাজধানীর বনানীতে ঢাকা শেরাটন হোটেলে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজনৈতিক নেতার মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়; এ. কে. আজাদ তাঁর ব্যক্তিত্ব ও মানবিক গুণ দিয়ে আগেই ফরিদপুরবাসীর মন জয় করেছেন। শত প্রতিকূলতা ছাপিয়ে তিনি জয় পেয়েছেন। সবার সমর্থন পেলে তিনি অনেক ওপরে যেতে পারবেন।

[219453]

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২০০৮ সালে এফবিসিসিআইর পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে কাজ করতে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা ভালো ছিল না। ভেবেছিলাম, এটা আমার জায়গা নয়। তবে আজাদ ভাই (এ. কে. আজাদ) জোর করে সহসভাপতি পদে নির্বাচন করালেন। তারপর এ সংগঠনের সভাপতিও হয়েছি। এটি তাঁর কারণেই হয়েছে। আমি তাঁর নেতৃত্বের গুণ দেখেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ফরিদপুরবাসী তাঁর কারণে উপকৃত হবেন।’

বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, ‘তাঁর স্পষ্ট ভাষণের জন্য আমাদের কোম্পানিতে যখন কোনো সমস্যা হয়, তখনই তাঁকে নিয়ে যাই। তিনি সত্যিকারের নেতা, আমারও নেতা।’

অনুষ্ঠানে এ. কে. আজাদ বলেন, ‘অর্থ-সম্পদ মানুষ কবরে নিয়ে যেতে পারে না। তাই এসব আমাকে বদলাতে পারেনি। কিন্তু আমি দেখি, সমাজ এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে, যেখানে অনেকে কেবল নিজেকে নিয়েই পড়ে থাকেন। এভাবে সমাজকে নষ্ট হতে দেওয়া ঠিক নয়। মানুষ এমন একজনকে নেতা হিসেবে পেতে চায়, যে তাঁর প্রাপ্যটা কেড়ে নেবে না। বিসিআই সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের সব শিল্পোদ্যোক্তার একটি ‘কমন’ সংগঠন। তিনি ব্যবসায়ীদের কণ্ঠস্বরকে উঁচু করতে হবে বলে মত দেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করারও অনুরোধ জানান।

[219432]

বিসিআইর সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল বলেন, এ. কে. আজাদ জীবনে যা চান, তা করে দেখান। আরেক  সাবেক সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এ. কে. আজাদ বিসিআইর মাধ্যমে নেপথ্যে থেকে ব্যবসায়িক নেতৃত্ব তৈরি করেছেন। বিটিএমএর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন বলেন, ‘ছাত্রাবস্থা থেকে দেখেছি, তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেন, তা তিনি রক্ষা করেন।’ এ সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, তিনি নিরহংকার মানুষ। যখনই ব্যবসায়ীরা কোনো সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে গেছেন, ওই সমস্যা নিয়ে তিনি সরকারের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত ছুটে গেছেন।

শুধু ফরিদপুরবাসী নয়; এ. কে. আজাদ তাঁর ব্যক্তিত্ব ও গুণাবলি দিয়ে অনেক আগেই ব্যবসায়ীদের মন জয় করেছেন বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী। তিনি বলেন, কখনও কাউকে খুশি করার জন্য তিনি কিছু বলেন না। সম্পদ ও নেতৃত্ব কখনও তাঁকে বদলাতে পারেনি। সবার জন্য যা ভালো, তাই তিনি করেন।

অন্য বক্তারা  বলেন, ফরিদপুরে নির্বাচনের দিন যখন প্রতিপক্ষের লোকজন একটি ভোটকেন্দ্র দখল করে তাঁর পোলিং এজেন্টকে বের করে দেয়, তখন সেখানে যাওয়ার পর তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। ওই সময় ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন এ. কে. আজাদ। তারা বলেন, এ. কে. আজাদ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর এলাকার ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ প্রতিশ্রুতি তিনি ভুলে যাননি। এরই মধ্যে কর্মসংস্থানের জন্য কাজ শুরু করেছেন। ১০ হাজার নয়, তিনি হয়তো লাখো মানুষের কর্মসংস্থান করবেন। তাঁর প্রতি ফরিদপুরবাসীর যে সমর্থন রয়েছে তাতে মনে হয়েছে, জীবদ্দশায় তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে তারা নেতা করবেন না।

[219431]

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিসিআই’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও আইসিসি বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, এফবিসিসিআই’র উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী, বিআইএ’র সভাপতি শেখ কবির হোসেন, বিসিআই’র সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল ও মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আইসিসি বাংলাদেশের নির্বাহি সদস্য আফতাব উল ইসলাম ও আব্দুল হাই সরকার, বিটিএমএ এর সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন সহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে এ.কে আজাদকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

একে আজাদ বলেন, বিসিআই আজ আমাকে যে সম্মান দিয়েছে তার জন্য আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। বিসিআই সামনের দিনগুলিতে তার কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি করবে বলে আমি আশা করি কারন বিসিআই একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার। আমি বিসিআইকে সবসময় নিজের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখি আর এ জন্য বিসিআই এর সকল প্রকার সাফল্য আমাকে আনন্দিত করে। আমি বিসিআই এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং আজ আমাকে এই সংবর্ধনা প্রদানের জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

অনুষ্ঠানে বিসিআই’র উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, সহ অন্যান্য পরিচালক বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এমটিআই