৮.৯৬ কোটি টাকার করের শাস্তিতে পড়ছে এবি ব্যাংক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪, ১২:১০ পিএম

ঢাকা: এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৩ সালের ব্যবসায়ও শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এজন্য ব্যাংকটিকে ৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অতিরিক্ত করের শাস্তির কবলে পড়তে হবে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি কোনো অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশের বেশি বোনাস শেয়ার দিতে পারবে না। অর্থাৎ বোনাস লভ্যাংশ সর্বোচ্চ নগদের সমান সমান হতে পারবে। যদি কোনো কোম্পানি বোনাস শেয়ার বেশি দেয়, তাহলে ওই বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করা হবে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের অনুমোদিত বাজেট অনুযায়ি এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। 

কোম্পানিগুলোকে মুনাফার কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ আকারে শেয়ারহোল্ডারদেরকে দিতে হবে। যদি ৩০ শতাংশের কম দেওয়া হয়, তাহলে রিটেইন আর্নিংসে স্থানান্তর করা পুরো অংশ বা কোম্পানিতে রেখে দেওয়া পুরোটার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার বিধান রাখা হয়।

দেখা গেছে, এবি ব্যাংকের ২০২৩ সালের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ১.০২ টাকা হিসেবে ৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার নিট মুনাফা হয়েছে। এরমধ্যে থেকে ২ শতাংশ বোনাস শেয়ারবাবদ ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা দিয়ে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানো হবে। মুনাফার বাকি ৭২ কোটি ১ লাখ টাকা বা ৮০.৪০ শতাংশ রিটেইন আর্নিংসে যোগ হবে।

কোম্পানিটিকে শুধুমাত্র ওই বোনাস শেয়ার ঘোষণার কারনে ১৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বোনাস শেয়ারের উপর ১০ শতাংশ হারে ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে। 

এছাড়া মুনাফার ৩০ শতাংশের কম লভ্যাংশ ঘোষণার মাধ্যমে রিটেইন আর্নিংসে রাখতে চাওয়া ৭২ কোটি ১ লাখ টাকার উপর ১০ শতাংশ হারে আরও ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার অতিরিক্ত কর দিতে হবে।

এর আগে ২০২২ সালে শুধু বোনাস, ২০২১ সালে নগদের চেয়ে বেশি বোনাস ও ২০২০ সালে শুধুমাত্র বোনাস শেয়ার দিয়ে অতিরিক্ত আয়করের শাস্তির কবলে পড়েছিল ব্যাংকটি।

এআর