পোশাক কারখানা উন্নয়নে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৬, ০৪:২৬ পিএম

পোশাক কারখানার উন্নয়নে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের পোশাক কারখানার মালিক ও ভবনের মালিকেরা এ ঋণ পাবেন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ‘আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট’-এর অধীনে মিলবে এ ঋণ। 

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এ ঋণ পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ব্যাংকগুলো এ ঋণ বিতরণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তির পরই ঋণের আবেদন করা যাবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে আবেদন আহ্বান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর জেলা এবং চট্টগ্রাম সিটির তৈরি পোশাক কারখানার ভবন নিরাপদ করতে ‘আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট’-এর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

কারিগরি সহায়তা উপাদানসহ প্রকল্পের তহবিলের মোট আকার ৪২৪ কোটি জাপানি ইয়েন। আর ঋণ তহবিলের আকার ৪১২ কোটি ৯০ লাখ জাপানি ইয়েন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৯৮ কোটি টাকা। পোশাক কারখানার ভবন পুনর্নির্মাণ, স্থানান্তর, সংযোজন বা রেট্রোফিটিং, চলতি মূলধন এবং অগ্নিনিরাপত্তার জন্য তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে।

বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিজিএপিএমইএর সদস্য এমন তৈরি পোশাক খাতের ভবন মালিক অথবা কারখানার মালিকেরা এ ঋণ সুবিধা পাবেন। ঋণের সর্বোচ্চ সুদ হার হবে ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে কমপক্ষে তিন বছর কার্যক্রম চালানো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আবেদন করার যোগ্য হবে। 

তবে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি হলে ওই ব্যাংক আবেদনের যোগ্য হবে না।

ওই নির্দেশনায় আরও জানানো হয়েছে, পুনঃ অর্থায়ন তহবিল থেকে সাব-লোন হিসেবে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৩৫ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা পাবেন। সংযোজন এবং অগ্নিনিরাপত্তার বিপরীতে নেয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ দুই বছর বাড়তি সময়সহ সর্বোচ্চ ১০ বছর। 

আর ভবন পুনর্নির্মাণ এবং স্থানান্তরের ক্ষেত্রে তিন বছর বাড়তি সময়সহ ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর। ভূমিকম্প প্রতিরোধক ভবন নির্মাণকালীন কাজ বন্ধ থাকা কারখানাগুলো পুনঃ অর্থায়ন তহবিল থেকে চলতি মূলধনের জন্য ঋণ সহায়তা পাবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/ জেডআরসি