অনুমোদন ছাড়াই পাট মজুদ করছে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ১২:১১ পিএম

নেই কোন ট্রেড লাইসেন্স কিংবা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, এরপরও পাট কিনে ঘর বোঝাই করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ভরা মৌসুমে কম দামে কিনে কয়েক মাস রাখলেই বেড়ে যায় দাম, এমন দাবি করলেও, একেবারেই উদাসীন পাটের গুণগত মান রক্ষায়।

এতে মিলগুলোতে ঢুকছে না পরিমাণমতো ভালো মানের পাট, চাহিদা পূরণ হচ্ছে না রপ্তানিকারকদেরও।

সরেজমিনে একটি আড়তে দেখা গেছে, কিছুদিন আগেও বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর সঙ্গে বেচাকেনা হতো খৈল ভুসি আর বিভিন্ন কাঁচামালের। কিন্তু মৌসুমের এ সময়টাতে বাজারে পাটের আমদানি বেশি হওয়ায় আগের সব মালামাল সরিয়ে সেখানে তোলা হচ্ছে কাঁচাপাট।

যদিও পাট আইন ২০১৬ বলছে, কোনো ব্যবসায়ীকে সোনালী আঁশ সংরক্ষণ করতে হলে নিতে হবে পাট অধিদপ্তরের অনুমোদন আর ট্রেড লাইসেন্স, যার পেছনে ক্ষেত্র বিশেষে খরচ পড়ে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

যদিও এসব ব্যবসায়ীদের ভরসা শুধুমাত্র একটি ব্যাপারি লাইসেন্স, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যা পাওয়া যায় মাত্র দেড় থেকে দুইশ টাকায়। এর উপর দুর্বল অবকাঠামোয় সংরক্ষণের ফলে নষ্ট হচ্ছে পাটের গুণগত মান, যেখানেও লঙ্ঘন করা হচ্ছে সদ্য অনুমোদিত আইনটির।

স্বাভাবিকভাবেই এতে ভালো মানের পাটের সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে পাটকলগুলোতে সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানিকারকরাও।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিয়মনীতির বাইরে থাকা পাট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের।

এক্ষেত্রে পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কোনো গাফিলতি আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ