বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট (গ্রস) রিজার্ভ আবারও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ৩২ বিলিয়ন ডলারের দ্বারপ্রান্তে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি (বিপিএম-৬) অনুসারে বর্তমানে দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৭.১২ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত রোববার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ, মাত্র চার দিনের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ডলার কেনার কার্যক্রম—উভয় কারণেই রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৪টি নিলামের মাধ্যমে ২ বিলিয়নেরও বেশি ডলার কিনেছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নিলামে ১০টি ব্যাংক থেকে ১০ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার (১০৪ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়। এ সময় প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১.৮০ টাকা, যা মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়ছে ধারাবাহিকভাবে। চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৮.৩৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেশি। শুধু অক্টোবরের প্রথম ৮ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্সের এই ধারাবাহিক বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার কৌশল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে আরও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৪টি নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ২ বিলিয়নেরও বেশি ডলার কিনেছে।
এম