যে কারণে স্বর্ণের দামে বড় পতন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৯:০০ পিএম
প্রতীকী ছবি

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর নীতি রূপরেখার ইঙ্গিত পাওয়ার পর বৈশ্বিক বাজারে ব্যাপক বিক্রি শুরু হয়। এতে এক দিনে স্বর্ণের দাম ৩ শতাংশ পর্যন্ত নেমে আসে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) স্পট গোল্ডের দাম ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৯২.৭২ ডলারে নেমেছে। যদিও দিনের মধ্যে বড় ধস দেখা গেলেও সপ্তাহের হিসেবে এখনও ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি রয়েছে।

ডিসেম্বর ডেলিভারির মার্কিন স্বর্ণের ফিউচারের দামও ২.৪ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৯৪.২০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। হাই রিজ ফিউচারসের মেটালস ট্রেডিং পরিচালক ডেভিড মেগার বলেন, ডিসেম্বরে ফেড সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা দুর্বল হওয়ায় স্বর্ণ ও রূপার বাজার চাপের মুখে পড়েছে।

ফেডের সতর্ক অবস্থানের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও বড় ধস নেমেছে। সিএমই গ্রুপের ফেডওয়াচ টুল জানায়, আগামী মাসে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর সম্ভাবনা প্রাথমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমে প্রায় ৪৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

ফরেক্স ডটকমের বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাযাকজাদা বলেন, বড় বাজার ধসের সময় মার্জিন কলের কারণে ট্রেডাররা সব সম্পদই বিক্রি করেন, এজন্য স্বর্ণের দামও নেমেছে।

এশিয়ার প্রধান বাজারগুলোতে স্বর্ণের ফিজিক্যাল চাহিদা পুরো সপ্তাহে কম ছিল। অন্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে স্পট সিলভার ২.৮ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৫০.৮৪ ডলারে, প্লাটিনাম ২.১ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৪৭.৩০ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ২.৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৩৮৭.২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের হিসাবে সিলভার ও অন্যান্য ধাতু এখনও ঊর্ধ্বমুখী।

দেশীয় বাজারে স্বর্ণের দামও কমেছে। প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা।

এসএইচ