ঢাকা সিটিতে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে চান অর্থমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০১৭, ০৮:২১ পিএম

ঢাকা: রাঝধানীর ঢাকার দুই সিটিতে বসবাসকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অর্থমন্ত্রী মনে করেন, দুই সিটির বাসবাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স অনেক কম। এটি বাড়ানো প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার গুলশানের একটি হোটেলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত ‘ইমপ্রুভিং ফিসক্যাল ট্রান্সপারেন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেছেন, ২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন কোনো সংস্কার আনা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স ১৯৬১ অথবা ১৯৬২ সালে নির্ধারণ করা হয়। এখনও সেটিই আছে। খোকা (সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা) এটিকে বাড়ানোর একটি উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং প্রত্যেককে নোটিশও দেন। এটা ছিল বার্ডেন (পীড়াদায়ক)। কারণ এটি আগের তুলনায় প্রায় ১১ গুণ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়। এটি নিয়ে আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমি তার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করি। আমি এটি বাস্তবায়ন করিনি এবং তিনি নোটিশটি প্রত্যাহার করেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্নির্ধারণ করা হয়নি। বনানীতে আমার ১৪ কাঠার একটি বাড়ি আছে। এর আয়তন ৫ হাজার ৮০০ স্কয়ার ফিট। অথচ হোল্ডিং ট্যাক্স মাত্র ১১ হাজার টাকা। ট্যাক্স রিবেট পাওয়ায় আমি পরিশোধ করি মাত্র ৬ হাজার টাকা।

মুহিত বলেন, আমি মনে করি নির্বাচিত দুই মেয়রের এ বিষয়ে অবশ্যই কিছু করা উচিত এবং তারা করবেন। ঢাকা সিটিতে নতুন হোল্ডিং ট্যাক্স বাস্তবায়ন করা হবে। ২০২০ সালের আগে আর্থিক খাতে নতুন সংস্কার আনা সম্ভব না উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই সরকারের এটি শেষ বছর। আগামী বছর নির্বাচনের বছর। সুতরাং আগামী বছর নতুন কোনো সংস্কারের জন্য উপযুক্ত সময় নয়।

অর্থনীতি নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাহিদ সাত্তারের সঞ্চালনায় সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়েল রিফম্যান, অর্থনীতিবিদ সিদ্দিকুর রহমান ওসমানি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাকির আহমেদ খান তারেক, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্য সচিব সোহেল চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ, পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদ, আইএনএমের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কে মজুরি প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা