সরকারি তিন ব্যাংকেরও পরীক্ষা হচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০১৮, ০৫:১৮ পিএম

ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সার্বিক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধে হাই কোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে আগামী ১২ জানুয়ারি(শুক্রবার) অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাটি স্বাভাবিকভাবেই অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারি) এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে হাইকোর্ট এক আদেশে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ বন্ধ করার কথা বলেছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনে সাড়া দিয়ে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এই স্থগিতাদেশ দেন। এর ফলে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে আইনি আর কোনো বাধা নেই।

পরে এই কমিটির সদস্য সচিব মোশাররফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, যেহেতু চেম্বার আদালত নিয়োগপরীক্ষা বন্ধে হাই কোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে। সেই আদেশ অনুযায়ী, ১২ জানুয়ারি যথাসময়ে ৮ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আইনজীবী জিয়াউর রহমান; সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রাশেদুল হক খোকন, তানজিম আল ইসলাম ও মির্জা সুলতান আল রাজা।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কর্মকর্তা (সাধারণ) ও কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগের জন্য গত বছরে দেয়া বিজ্ঞপ্তির সব ধরনের কার্যক্রম ওই তিন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ।

২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক ৭০১টি শূন্য পদে অফিসার ও অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।

ওই বছরের ২৬ জুলাই রূপালী ব্যাংক ৪২৩টি শূন্য পদে সিনিয়র অফিসার ও ৩ অগাস্ট জনতা ব্যাংক ৭৩৬টি শূন্য পদে অ্যাসিসট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। কিন্তু এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে গত বছরের ২৩ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের একহাজার ৬৬৩টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (সাধারণ) শূন্য পদের জন্য সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।

 এরপর ২৯ আগস্ট আবার তিন হাজার ৪৬৩ টি কর্মকর্তা (সাধারণ) শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।  সর্বশেষ গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ২৪৬টি কর্মকর্তা (ক্যাশ) শূন্য পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষার দিন রাখা হয়।

কিন্তু ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির পর আবেদন করা  প্রার্থীদের পরীক্ষা না নিয়ে ২০১৭ সালে আবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় বগুড়ার আসাদুজ্জামান, কুমিল্লার আবু বকরসহ ২৮ জন নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলার বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে গেলে ওইসব বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়।

ওই বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় পরীক্ষা নেয়ার আগে ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তির আওতায় নিয়োগ পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করে আদালত।

বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থসচিব, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

সোনালীনিউজ/আতা