ব্যাংকিং খাতে অর্থ সংকট সাময়িক: গভর্নর

  • জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮, ০৭:০০ পিএম

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বর্তমানে ব্যাংক খাতের অর্থসংকট খুবই সাময়িক এবং স্বল্প সময়ে এ সমস্যার সমাধান হবে। বিদেশ হতে অবৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহের পরিমাণ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি আবুল কাসেম খানের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গভর্নরের। ওই বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ঋণের উচ্চহারের ফলে দেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছেন না, তাই বিনিয়োগে প্রাপ্তির জন্য পুঁজিবাজারে “বিনিয়োগ বন্ড” ছাড়ার সময় হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে নীতিমালা প্রণয়ন দরকার। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, যা কিনা ব্যাংক হতে দেয়া ঋণের প্রায় ১০.৬৭ শতাংশ। এ বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ কাঙ্খিত মাত্রায় এফডিআই আকর্ষন করতে পারেনি, তাই দেশে এফডিআই প্রবাহ বৃদ্ধিতে শিল্প খাতের থ্রাষ্ট সেক্টরসমূহে প্রণোদনা বৃদ্ধি এবং বিনিয়ক সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সংষ্কারের দরকার।

গভর্নর ফজলে কবির তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন, অবকাঠামো সহ অন্যান্য খাতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিতকরনের জন্য পুঁজিবাজারে বন্ড প্রবর্তনের বিষয়টি একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে। তিনি দেশের উদ্যোক্তাদের লাভজনক বৃহৎ প্রকল্প নিয়ে কাজ করার আহবান জানান এবং এক্ষেত্রে অর্থায়নের কোন সমস্যা হবে না বলে, আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি আরোও জানান, প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়, তাহলে কর অব্যহাতি সুবিধা সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করা হবে।

মুক্ত আলোচনার সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট এ্যাডভাইজর আল্লাহ মালিক কাজেমি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ এবং ব্যাংকিং রিফর্ম এ্যাডভাইজর এ কে সুর চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি রিয়াদ হোসেন, পরিচালক আকবর হাকিম, হোসেন এ সিকদার, হুমায়ুন রশিদ, কে এম এন মঞ্জুরুল হক, নূহের লতিফ খান, সেলিম আকতার খান, ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির অংশ নেন।

সোনালীনিউজ/তালেব