সিটিসেলকে দিতে হবে ১২৮ কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০১৮, ০৫:১৭ পিএম

ঢাকা: আর্থিক সঙ্কটের কারণে সরকারের নির্দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের কাছে বকেয়া ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এই অর্থ দিতে হবে।
 
এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার (৫ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে সিটিসেলের পক্ষে করা মানহানি মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আদালতে সিটিসেলের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, কামরুল হক সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও খন্দকার রেজা-ই রাকিব।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে সিটিসেলের বকেয়া এবং লাইসেন্স নবায়নের স্পেকট্রাম ফির দুই কিস্তির টাকা বাকিসহ সব মিলে অপারেটরটির বকেয়া হয় ৩৭২ কোটি ৭২ লাখ ৯৩ হাজার ৭৬৭ টাকা।

এর মধ্যে অপারেটরটি ‍তিন দফায় ২৪৪ কোটি ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৪ টাকা পরিশোধ করেছে। ফলে এখনও অবশিষ্ট রয়েছে ১২৮ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৩ টাকা। এর আগে সিটিসেলের কাছে পাওনা এই ১২৮ কোটি টাকা জমা দেওয়ার জন্য দফায় দফায় নির্দেশনা দেয়া হলেও তা তোয়াক্কা করেনি অপারেটরটি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর সিটিসেলের স্পেক্ট্রাম বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি। এর কিছুদিন স্পেক্ট্রাম খুলে দেয়া হলেও অপারেটরটি আর দাঁড়াতে পারেনি। ১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর।

বর্তমানে সিটিসেলের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক। ফার ইস্ট টেলিকম ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর প্যাসিফিক মোটরসের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মালিকানা।

নতুন করে বিনিয়োগকারী খুঁজছে অপারেটরটি। এ জন্য সম্প্রতি ফোরজি নিলামেও অংশ নিয়েছিল। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে নিলাম থেকে ছিটকে পড়েছে।

সোনালীনিউজ/আতা