‘নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমানো হচ্ছে না’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০১৮, ০৯:২৬ পিএম

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো হচ্ছে না। সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, গঠিত কমিটি আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট দেবে। তবে রিপোর্ট যাই আসুক, আগামী নির্বাচনের আগে সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমছে না।

মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদহার সমন্বয় করতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠককালে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আবদুল মুহিত বলেন, সঞ্চয়পত্রের সুদহারের ক্ষেত্রে আমরা বাজার রেট থেকে এক বা দেড় শতাংশ বেশি রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এখন এটা অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটা কমাতে হবে। তবে পরবর্তী সরকার সঞ্চয়পত্র কমানোর বিষয়টি বাস্তবায়ন করবে। আশা করছি, আমরা আবারও সরকারে আসবো। আমরাই এটি বাস্তবায়ন করবো।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাস থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য বাধ্যতামূলক ব্যাংক হিসাব থাকতে হবে। সঞ্চয়পত্র বিক্রির ক্ষেত্রে অটোমেশন কার্যক্রম শুরু হলে ব্যাংক হিসাব না থাকলে সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে চেকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

মুহিত বলেন, ‘বর্তমানে অনেক ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। তাই আমরা কমিটিকে বলেছি, তোমরা এ জিনিসটা স্টাডি করো। কমিটি শুধু সুদহারই নয় অনেক ধরনের সঞ্চয়পত্র কমিয়ে যৌক্তিকীকরণও করবে। ব্যাংকিং সিস্টেমে যখন সঞ্চয়পত্র বিক্রি হতো না তথন পোস্ট অফিস বিক্রি করতো। সার্বিকভাবে সঞ্চয়পত্র কার্যক্রমটাকে রিফর্ম করার সুপারিশ দেবে কমিটি।

তিনি বলেন, সঞ্চয়পত্রে বর্তমানে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকারে মতো, যা মোট অর্থ প্রবাহের প্রায় ২২ শতাংশ। অর্থাৎ অনেক মানুষ এখানে বিনিয়োগ করেছে। কারণ, এখানে সুদহার বেশি।

বৈঠকে মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেগম শামসুন্নাহারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম