এবার জাবির উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

  • জাবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৯:৩০ পিএম

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ দাবি করেছে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামপন্থি শিক্ষক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে সভাপতি ও সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক আমির হোসেন নিজে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। সাবেক একজন উপাচার্যের প্রত্যক্ষ মদদে নিজে প্রশাসনের বিভিন্ন দুর্নীতিতে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করছেন বলেও জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়াদে পুনঃনিয়োগের পর থেকে উপাচার্যকে নানাভাবে অসহযোগিতা করছেন অধ্যাপক আমির হোসেন। এছাড়া প্রশাসনের গাড়ি ব্যবহার করে তিনি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে যান। অন্যদিকে প্রশাসনের সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের সাথে নির্ধারিত বৈঠক বর্জন করে তিনি সমাধানের পথকে জটিল করেছেন বলেও দাবি করা হয়।

এসবের প্রেক্ষিতে অধ্যাপক আমির হোসেনের পদত্যাগ দাবি করা হয় উপাচার্যপন্থি শিক্ষক সংগঠনটির পক্ষ থেকে। এছাড়া উপ-উপাচার্যের ভাগ্নি ভর্তিতে তিনি কেলেঙ্কারি করেছেন দাবি করে এই ঘটনার তদন্ত শেষ করে শাস্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়। পাশাপাশি ভর্তি সংক্রান্ত যেকোন কাজে তাকে বিরত রাখার দাবি করা হয়।

এদিকে অধ্যাপক আমির হোসেনকে সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম শোকজ করেছেন বলে জানা যায়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক আমির হোসেন বলেন, প্রশ্নপত্র জালিয়াতির অভিযোগটি তৎকালীন বিএনপিপন্থি উপাচার্য অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমানের রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিলো। এটি মীমাংসিত বিষয়। কিন্তু হঠাৎ করে কেন এসময় এটি আলোচনায় আনা হলো তা চিন্তার বিষয়। গত বুধবার প্রশাসনপন্থি শিক্ষকদের একটা মিটিং হয়েছে। সেখানে তারা একটি উইকেট ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উপাচার্যের যদি পদত্যাগ হয় তাহলে যেন আমি কোন পদে আসীন হতে না পারি সেজন্য তারা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। গতকালের আলোচনা বর্জন করায় উপাচার্য আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। যেটি তার এখতিয়ারভ‚ক্ত নয়। এটা আচার্যের অধীন।

তবে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, বৈঠকে না আসলে আমি শোকজ করতেই পারি। এই শোকজ হচ্ছে তিনি কেনো বৈঠকে উপস্থিত থাকেন নি এই নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তার কর্তব্য পালন না করলে আমি অবশ্যই জানতে চাইতে পারি। আচার্য করলে ফাইনালি শোকজ করবেন।

সোনালীনিউজ/এসএইচএস/এএস