টানা চতুর্থ দিন

আন্দোলনে উত্তাল বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

  • গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম

গোপালগঞ্জ : ভিসি ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ।রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন। ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ আশেপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. বশির উদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও তারা হলেই অবস্থান করেছে। আসলে আমরা তাদেরকে রাগাতে চাই না। একটা শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান চাই।’

আন্দোলনের মুখে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ এবং সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা সে আদেশ মানেননি। তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। এরপর ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর করা হয় ড. বশির উদ্দীনকে।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আগের মতোই আন্দোলন করছে। তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তারা আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে রাজি হয়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ইইই (ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের ডীন প্রফেসর ড. আব্দুর রহিমকে প্রধান, আইন বিভাগের ডীন আবদুল কুদ্দুছ মিয়াকে সদস্য সচিব ও ড. সামচুল আরেফিনকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগামী ৫ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

তবে সর্ব শেষ খবর অনুযায়ী আন্দোলনকারী শির্ক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই আবারও হামলার আশঙ্কা করছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়াসহ আরো কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

সোনালীনিউজ/এএস