বেরোবিতে গেইট চাওয়ায় শিক্ষার্থীদের হুমকি

  • বেরোবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০১৯, ০৩:৪০ পিএম

বেরোবি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রধান ফটকের দাবিতে মানববন্ধন করায় মানববন্ধনকারীদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবাষিকীর র‌্যালি শুরু হওয়ার আগে ২নং গেটের সামনে প্রধান ফটকের দাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ায়। সেখানে তাবিউর রহমান ও আতিউর রহমান নামে দু’জন শিক্ষক তাদেরকে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মানববন্ধনকারী শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন শেষে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিন হোসাইন অনিক ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে একটি স্টাটাস দেন। সেখানে হুমকি প্রদানকারী শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘স্যার, আমাদের দাবি কি অযৌক্তিক ছিলো? আপনারা যথারীতি হুমকি দিয়েছেন আমাদের আজকে। স্যার মনে রাখবেন যৌক্তিক দাবি হুমকি দিয়ে, ক্ষমতার জোরে হয়তো দমিয়ে রাখা যায় কিছুদিনের জন্য কিন্তু চিরকালের জন্য না। আপনারা হয়তো জানেন না প্রতিবছর এই লাখ লাখ টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করা না করা নিয়ে কেউ কিছু মনে করে না, একদিনই এটার আনন্দ শেষ! কিন্তু একটা প্রধান গেইট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি, সারাবছর এটা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে প্রশ্ন জাগে কেন হচ্ছেনা আমাদের গেইট? অনেকবার চেষ্টা করেও এর সঠিক জবাব আমরা পাইনি, বার বার শুধু মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখা হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ‘লাখ লাখ টাকা খরচ করে প্রতি বছর এমন অনুষ্ঠান চাইনা, আমরা একটি প্রধান গেইট চাই’ লেখা সম্বলিত ফেস্টুন হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিন হোসেন অনিক।

জানতে চাইলে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী রাফিন জানায়, ‘একযুগে পদার্পন করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা প্রধান গেট নেই, এ বিষয়টা খুবই অবাক করে আমাকে। লাখ লাখ টাকা খরচ করে এত বড় আয়োজন করে প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে প্রশাসন কিন্তু একটা গেট করতে পারেন। আমার দাবি টাকা যদি নাই থাকে একটা অনুষ্টান না করে হলেও একটা প্রধান গেট করা হোক।’

অভিযুক্ত শিক্ষক তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, ‘গেটের দাবি তো আমাদের সবার। আমি তো বলেছিলাম যে, বাবারা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের র‌্যালিটা হয়ে যাক পরে করিও। আমরাও তোমাদের সাথে থাকবো।

সোনালীনিউজ/এমএ/এএস