‘মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খোলা হবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৬, ০৮:১৬ পিএম

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী মাধ্যমিক স্তরকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত করতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি খোলা হবে।

বুধবার (১ জুন) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান। বর্তমানে বাংলাদেশে মাধ্যমিক শিক্ষা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অনুযায়ী তা হবে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত।

গত ১৮ মে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলেও এ বিষয়ে এখনো মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া যায়নি।

শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টমে উন্নীত হলো, এবার মাধ্যমিক স্তর দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীততে প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একসঙ্গে চাল-ডাল ভেঙে নিয়ে গেলাম অর্ধেক হাঁড়ি এখানে অর্ধেক হাঁড়ি ওখানে, আমরা এমনটা করব না। আমাদের অনেক কিছু একসঙ্গে চালাতে হবে। আমরা রাতারাতি সব কিছু করতে পারব না। ধীরে ধীরে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটা দাঁড়িয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হয়ে গেলে আমাদের থাকবে নবম ও দশম, আর উচ্চ মাধ্যমিকে থাকবে একাদশ ও দ্বাদশ। সবটা মিলে মাধ্যমিক হয়ে যাবে। যেখানে নবম-দশম শ্রেণি আছে সেখানে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি খুলব।

নুরল ইসলাম নাহিদ বলেন, রাতারাতি সবকিছু ভেঙেচুরে ফেলার দৃষ্টিভঙ্গি না। সয়ে সয়ে নিয়ে বাস্তব যা অবকাঠামো আছে, যে শিক্ষক আছে তা রেখেই যতটুকু করতে পারি তা করার চেষ্টা করব।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যেসব প্রার্থী রয়েছেন, আবার নতুন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা আগে পাস করেছেন তাদের একটা গ্রেড দেওয়া হয়েছে, একটা নাম্বারিং আছে তারা কত ভালো করেছেন। আমরা সেখান থেকে আগে তাদের নিয়োগ দিয়ে দেব। ২-৩ বছরের মধ্যে অন্যরাও যখন চলে আসবেন তখন এ সমস্যাটা আর থাকবে না। যোগ্যতা না থাকলে আর চাকরি পাবেন না। বারবার তো ব্যর্থ হওয়ার দরকার হবে না। একবার ব্যর্থ হলেই তিনি বুঝে যাবেন।’

তিনি আরও বলেন, এখন এদের মধ্য থেকে নেব, এতে তারা বঞ্চিত হবেন না। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষায় চলে যাব যাতে নতুনরা আসতে পারেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগে যারা উত্তীর্ণ আছেন আমরা তাদের তিন বছর পর্যন্ত দেখব। এরপর দেখা যাবে তাদের অনেকেই আর শিক্ষকরা করতেও আগ্রহী হবেন না।’

স্থানীয়ভাবে চাহিদার ভিত্তিতে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে সময় দিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শূন্য পদের তথ্য দিয়ে তার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম