যানজটে আটকে গেল তিথির স্বপ্ন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২, ২০২১, ০২:১৮ পিএম
গোপালগঞ্জের তিথি রয়।ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় হতবিহ্বল গোপালগঞ্জের তিথি দুহাতে মুখচেপে কাঁদতে থাকে অঝোর ধারায়।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নে অনেক রাত নিদ্রাহীন থেকেছে তিথি রয়। তবে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারার কারণে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনিন তিনি। তাইতো স্বপ্ন ভাঙার নিদারুণ কষ্টে কেন্দ্রের বাইরে কান্নায় ভেঙে পরেন তিথি।

শেষমেশ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে স্থান ত্যাগ করেনি তিথি ও তার স্বজনরা।

শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। কিন্তু রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের কারণে ভর্তিচ্ছু তিথি কেন্দ্রের গেটে এসে পৌঁছায় ১১টা ২৫ মিনিটে।ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী এত দেরি করে আসায় তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি সেখানে দায়িত্ব পালন করা আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসির সদস্যরা।

স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় হতবিহ্বল তিথি দুহাতে মুখচেপে কাঁদতে থাকে অঝোর ধারায়।তার অভিভাবক এবং আশপাশের কয়েকজন ঢাকা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপস্থিত শিক্ষকদের বোঝাবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। শেষমেশ রাগে-ক্ষোভে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে স্থান ত্যাগ করেন তিথি।

তিথির মা গীতা রায় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের পর থেকে দিন-রাত পড়াশোনায় ব্যস্ত থেকেছে তিথি।আজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে খুব সকালে গোপালগঞ্জ থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। কিন্তু বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদি এলাকায় যানজটে আটকে পরার কারণে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।

এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি পরীক্ষার বিধি অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তিথি রয় নামের মেয়েটি পরীক্ষা শুরুর অনেক পরে উপস্থিত হয়। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে জানালে তারা মেয়েটিকে কেন্দ্রে প্রবেশে অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

সোনালীনিউজ/আইএ