জবি উপাচার্য বললেন ‘আমিও বুলিংয়ের শিকার হয়েছি’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম

ঢাকা: সহপাঠি এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী  ফাইরুজ অবন্তিকার দেওয়া অভিযোগ কে কে অবহেলা করেছেন এ বিষয়ে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

তিনি বলেছেন, আশা করি, তদন্ত কমিটি এটা বের করে আনবে- কেন অবন্তির ওই চিঠি অবহেলা করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আগের প্রক্টর টিমকেও আনা হবে। বস্তুনিষ্ঠ কাজ করতে হবে তদন্ত কমিটিকে।

[219683] 

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়োজনে ফাইরুজ অবন্তিকার স্মরণে শোকসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট সাত কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাতে সুষ্ঠু হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা করা না হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলিং নিতে পারি, কারণ ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি।

[219675]

সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াবো। শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না, একজন নারীও থাকবে। 

দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সাময়িক বহিষ্কার না করলে এত দ্রুত বিচার করা যায় না। আমাদের যে তদন্ত কমিটি তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। একটি তদন্ত দ্রুত করা যায় না। আইন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকেই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়ন বক্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বক্সগুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্সগুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো প্রতিনিয়ত। আমি সবসময় মেয়েদের জন্য দাঁড়াবো।

আইএ