পরীক্ষা দিতে এসে আটক, ইবি ছাত্রলীগের ২ নেতাকে থানায় সোপর্দ 

  • ইবি প্রতিনিধি:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম

কুষ্টিয়া: সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২ নেতা। রোববার (২ মার্চ) দুপুরে সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদেরকে মারধর করে থানায় সোপর্দ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আটক হওয়া শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা হলেন- মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও মারুফ আহমেদ। নাঈম শাখা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন-বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রলীগ কর্মী মারুফ আহম্মেদ সাদ্দাম হোসেন হলে প্রভাব বিস্তার করতো বলে জানা গেছে। তারা উভয়ই সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা যায়, সমাজকল্যাণ বিভাগে ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সেমিস্টার ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। এসময় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভাগে জড়ো হয়। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সেখানে উপস্থিত হন। পরে শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা তাদেরকে থানায় সোপর্দ করেন। 

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, জুলাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বিভিন্নভাবে নাঈম ও মারুফ শিক্ষার্থীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। 

এদিকে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবর ওই দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আবেদন দেন বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া লুনা, শিক্ষক শ্যাম সুন্দর সরকার ও মমতা মুস্তারী। 

সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতি আসমা সাদিয়া লুনা বলেন, তারা ২ জন পরীক্ষা দিতে আসছিল। আমরা পূর্বে অবগত ছিলাম না। পরে তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ বিষয়ে থানা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, বিভাগ থেকে আমাকে বিষয়টি ফোন করে জানায়। পরে আমি তাদেরকে বের করে দিতে বলি। কিন্তু এরমধ্যে ওখানে একটা মব তৈরি হয়েছিল, প্রায় ৭০-৮০ জন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী সেখানে সমবেত হয়েছিল। পরে বিভাগের শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় আটক দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। 

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুইজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ইতোপূর্বে নিষিদ্ধ সংগঠন সংক্রান্ত একটি মামলা থানায় রয়েছে। সেই মামলাতেই তাদের চালান করা হবে।

আইএ