২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসবভাতা বাড়ানোসহ তিন দফা দাবিতে অনশন করছেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। অনশনের দ্বিতীয় সপ্তাহে পৌঁছানো এ আন্দোলনে ইতিমধ্যে ছয়জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আদনান হাবিবুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সভাপতি ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি।
অন্যদিকে, দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর শাহবাগে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।
সোমবার আন্দোলনকারীদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজীজি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমরা ২২ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর পরও যদি সরকার প্রজ্ঞাপন জারি না করে, তাহলে যেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা বাংলাদেশ আগে কখনও দেখেনি। প্রয়োজনে দেশজুড়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ঢাকায় এনে ‘যমুনা ঘেরাও’ করব।
১২ অক্টোবর থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয় এ আন্দোলন। সেদিন দুপুরে পুলিশের অনুরোধে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে গেলেও পরে তাদের বিরুদ্ধে জলকামান, লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে ১৪ অক্টোবর থেকে সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি চলছে। পাশাপাশি জাতীয় প্রেস ক্লাব, শহীদ মিনার, সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ ও শাহবাগ অবরোধসহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ আন্দোলনের ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারপক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এম