২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল এবং ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। আবেদন প্রক্রিয়া, নম্বর বণ্টন এবং জিপিএর মানদণ্ডে আনা হচ্ছে বেশ কিছু নতুন নিয়ম।
রোববার (২৬ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব পরিবর্তনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। শিগগিরই আরেকটি সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
আবেদন প্রক্রিয়ায় নতুন তিনটি অপশন
আগামী শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা একীভূতভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই আবেদন প্রক্রিয়ায় থাকবে তিনটি বিকল্প— মেডিকেল, মেডিকেল + ডেন্টাল এবং শুধু ডেন্টাল।
যে শিক্ষার্থী শুধুমাত্র মেডিকেল অপশন বেছে নেবেন, তিনি দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। শুধু ডেন্টাল অপশন বেছে নিলে পাওয়া যাবে ৯টি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিটের তালিকা। আর মেডিকেল+ডেন্টাল অপশন বেছে নিলে মোট ৪৬টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
জিপিএর মানদণ্ডে পরিবর্তন
এসএসসি ও এইচএসসি মিলে কমপক্ষে জিপিএ ৮.৫ থাকতে হবে। তবে পৃথকভাবে প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০ পেতে হবে এবং জীববিজ্ঞানে থাকতে হবে জিপিএ ৩.৫।
সভা সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক পরীক্ষার নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির কারণে জিপিএ মান কিছুটা ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নম্বর বণ্টনে আসছে পরিবর্তন
ভর্তি পরীক্ষা মোট ২০০ নম্বরে হবে—এর মধ্যে ১০০ নম্বর এমসিকিউ এবং ১০০ নম্বর জিপিএর ভিত্তিতে।
তবে পদার্থবিজ্ঞানের নম্বর ২৫ থেকে কমিয়ে ২০ করা হচ্ছে। বাকি ৫ নম্বর যুক্ত হবে “সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি” অংশে, যা এখন থেকে ১৫ নম্বরে হবে।
আসন সংখ্যা কমছে
মান ও অবকাঠামোগত সক্ষমতা বিবেচনায় ৮১৬টি আসন কমানো হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি মেডিকেলে ৪০৮টি এবং বেসরকারি মেডিকেলে ৪০৮টি আসন কমানো হয়েছে। তবে এই সংখ্যা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে আরও সমন্বয় করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এসএসসিতে পাওয়া জিপিএ ৮ দিয়ে গুণ এবং এইচএসসির জিপিএ ১২ দিয়ে গুণ করা হবে। আগের শিক্ষাবর্ষে যথাক্রমে ৪ ও ৬ দ্বারা গুণ করা হতো। ফলে এবার একাডেমিক ফলাফলের ওজন আরও বেড়ে যাচ্ছে।
তবে ভর্তি পরীক্ষা আগের মতোই ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের এমসিকিউতে থাকবে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থ, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও মানবিক গুণাবলি। আর বাকি ১০০ নম্বর হিসাব হবে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে।
এম