চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিনের শান্তির পর আবারও উত্তাপ ফিরে এসেছে। রোববার (২ নভেম্বর) ভোরে আলাওল হলের প্রধান ফটকে ঝুলতে দেখা যায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ব্যানার।
ব্যানারে লেখা ছিল, “আমার মাটি আমার মা, সেন্ট মার্টিন ও চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশীদের হতে দেব না। জাগো বাঙালি, জাগো মাতৃভূমি রক্ষা করো। শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে।”
ব্যানারের এক পাশে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি, অপর পাশে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ছবি টানানো ছিল।
ব্যানার টানার পর থেকেই ক্যাম্পাসে শুরু হয় তোলপাড়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা ইব্রাহিম রনি লিখেছেন, ‘রাতের আঁধারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তারা ভুলে গেছে, এটি শহিদ তরুয়া ও শহিদ ফরহাদের রক্তসিক্ত ক্যাম্পাস। কোনো ষড়যন্ত্রকারীর ছাড় নেই।’
ছাত্রদল নেতা নোমানও প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, ‘নিষিদ্ধ ব্যানার গেটের ওপর সাঁটানো হয়েছে। প্রশাসনের কিছু সাবেক ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।’
চবির শিক্ষার্থী রকিবুল হাসান বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে এটি একটি পরিকল্পিত চেষ্টা। ক্যাম্পাসের শান্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা চলছে। প্রশাসনের নীরবতা কিছু ছাত্রলীগকে আরও বেপরোয়া করেছে। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা জরুরি।’
ফেসবুকসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করছেন। অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে শাটল ট্রেন ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানসহ গ্রাফিতি দেখা গেছে, যা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
এসএইচ