সরকারি গেজেটের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়নের নতুন নিয়মাবলী প্রকাশ করা হয়েছে। এখন থেকে এই নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নির্বাচনি বা বাছাই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।
গেজেটে বলা হয়েছে, নির্বাচনি বা বাছাই পরীক্ষার বিষয়, ব্যাপ্তি ও নম্বর কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য মোট নম্বরের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নম্বর অর্জন করতে হবে। শূন্যপদের অনুপাতে ১:২ অনুপাতে বিষয় ও পদভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও গ্রহণ করা হবে, যা ২০ নম্বরের হবে এবং পাশ নম্বরও মোট নম্বরের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ নির্ধারিত।
শূন্যপদের চাহিদা নিরূপণের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চলমান বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বা কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ে তথ্য প্রেরণ করতে হবে। অধিদপ্তরসমূহ প্রাপ্ত তালিকা যাচাই-বাছাই করে এনটিআরসিএ-তে প্রেরণ করবে। প্রার্থীরা আবেদনপত্রের সঙ্গে নির্ধারিত ফি প্রদান করে পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়মাবলির লঙ্ঘন বা ফি প্রদান না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।
গেজেটে আরও বলা হয়েছে, প্রার্থীর বয়স বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে থাকতে হবে। এছাড়া, যে পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চান, সেই পদে সর্বশেষ অনুমোদিত জনবল কাঠামো এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে পরীক্ষায় যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
নতুন বিধিমালার মাধ্যমে এনটিআরসিএ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আবেদন গ্রহণ, প্রবেশপত্র বিতরণ, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের জন্য স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়ার পথে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এসএইচ