প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নতুন তথ্য দিল শিক্ষা অধিদপ্তর 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২৫, ০৮:২৬ পিএম
ফাইল ছবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২ জানুয়ারি একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া দেশের বাকি সব জেলায় একসঙ্গে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি এ নিয়োগ পরীক্ষা পরিচালনার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশিকায় পরীক্ষার দিন কেন্দ্রের ভেতরে কী নেওয়া যাবে আর কী নেওয়া যাবে না, সে বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রবেশপত্র ছাড়া কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। একই সঙ্গে পরীক্ষার্থী কোনো বই, নোট, উত্তরপত্র বা অন্য কোনো কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন না। ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি কিংবা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইসও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রে এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী বহন করলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ব্যবহৃত টয়লেটেও এসব সামগ্রী না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কেন্দ্রে প্রবেশের সময় থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে। প্রবেশপত্রেই এই শর্ত সংযোজিত আছে। কক্ষ পরিদর্শকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে পরীক্ষার্থীদের কানের ভেতরে ব্লুটুথযুক্ত স্পাইক এয়ারফোন আছে কি না, তা টর্চলাইট ব্যবহার করে পরীক্ষা করা হবে। 

লিখিত পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীকে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজানো হবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ বা কেন্দ্র ত্যাগ করতে দেওয়া হবে না। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ বা বের হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরীক্ষা আয়োজন নিশ্চিত করতেই এ কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসএইচ