গণিতের ‘কঠিন’ প্রশ্নে আত্মহত্যা! বিক্ষোভ

  • জেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০১৬, ০৯:০০ পিএম

চুয়াডাঙ্গা: নবম শ্রেণির স্কুল ফাইনাল পরীক্ষায় গণিতের প্রশ্ন ছিল খুব ‘কঠিন’। সবাই ভেবে নিয়েছে পাস করবে না কেউ। এমন আশঙ্কা ছিল মেধাবী ছাত্রী রিমুরও। কিন্তু উত্তর না পারার লজ্জা সে মানতে পারছিল না । তাই এক পর্যায়ে জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শেষ অবধি পৃথিবী ছেড়েই চলে যায়।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে আত্মহত্যা করে বসে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সুরাইয়া সুলতানা রিমু। রাতেই জানাজানি হয়। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) স্কুল ক্যাম্পসে সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। রিমুর সহপাঠীরা বিক্ষোভ শুরু করে। বেলা একটার দিকে স্কুল গেটের বাইরে চলে আসে বিক্ষাভকারী ছাত্রীরা।

প্রধান সড়কে বসে পড়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। টানা ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে প্রধান সড়ক। এতে দুদিকে যানবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক অবরোধের কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়ে পুরো চুয়াডাঙ্গা শহর।

ঘণ্টা খানেক পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছাত্রীদের অভিযোগ, স্কুল ফাইনালে নবম শ্রেণির গণিত বইয়ের বাইরে থেকে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। তারা সহপাঠীর অকাল মৃত্যুতে প্রশ্ন প্রণয়নকারী শিক্ষকের বিচার দাবি করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন ছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। এরপর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা) আব্দুর রাজ্জাককে প্রধান করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটি আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানানো হয়। এরপর প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা সোয়া ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রীরা ।

সোনালীনিউজ/এমএন