‘শিক্ষা ব্যবস্থায় ৭১-এর গণহত্যা তুলে ধরতে হবে’

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০১৭, ০৩:২৮ পিএম

ঢাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা মানব জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় ঘটনা। এর সঠিক তথ্য শিক্ষা কারিকুলামে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।

সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ‘উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে ৭১-এর গণহত্যা’ শীর্ষক এক আলোচনা তিনি এসব কথা বলেন। এ সভায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির এবং পাকিস্তানের দুইজন গবেষক- আনাম জাকারিয়া ও হারুন খালিদ আলোচনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ভিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লক্ষ বাঙালি ঐ নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ৩ লক্ষ মা-বোন তাদের সম্ভ্রম হারান। আর ১ কোটি গৃহহারা মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতির নজিরবিহীন আত্মত্যাগ ও পাকিস্তানী বাহিনীর এই বর্বর গণহত্যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে শিক্ষা কারিকুলামে সঠিক চিত্র গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। সেটি মনে রেখেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা কারিকুলামে ‘স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস’ শীর্ষক একটি পূর্ণ কোর্স সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য আবশ্য পাঠ্য করা হয়েছে।

শাহরিয়ার কবির তার আলোচনায় বলেন, যে-কোনো সংজ্ঞা বিচারে ৭১-এ পাকিস্তানি বাহিনীর নির্বিচার বাঙালি হত্যা ছিল একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার হত্যাকাণ্ড বা জোনোসাইড। পাকিস্তানের উচিত ছিল বহুপূর্বেই এজন্য বাঙালিদের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া।

পাকিস্তানি দুই গবেষক আনাম জাকারিয়া ও হারুন খালিদ বলেন, ৭১-এ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ড ছিল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। কোনো অবস্থাই কোনো মানুষ অপর কোনো মানুষের ওপর এরূপ হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না”।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ৭১-এর গণহত্যার ওপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তৈরিকৃত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর নোমান উর রশীদ, ট্রেজারার, ডিনসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই