ক্লাসরুমে শিক্ষিকা গণধর্ষণ: ফুঁসছেন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৭, ০৭:৫৮ পিএম

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির ডাকে তিন দিনব্যাপী কালোব্যাজ ধারণ কর্মসূচী পালন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার(২১ আগস্ট) দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কালোব্যাজ ধারণ করেন। আগামী মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামী ২৪ আগষ্ট(বৃহস্পতিবার) দুপুর ১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও সারাদেশে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষকরা মানববন্ধন করবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর স্বামীর অপেক্ষায় বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার উত্তর করুনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা ক্লাসরুমে বসে পরীক্ষার খাতা দেখছিলেন। স্বামীর আসার পর বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় কিছু বখাটে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে স্বামীকে মারধর করে তার সামনেই শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঐ দিন রাতেই বেতাগী থানায় মাললা করেন ওই শিক্ষিকা।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয় ছয়জনকে। তারা হলেন বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, আবুল বারেক মিয়ার ছেলে রাসেল, আব্দুল কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী, সুলতান হোসেনের ছেলে রবিউল, আব্দুর রহমানের ছেলে হাসান ও আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে জুয়েল।    

শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, মানব বন্ধন শেষে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দেবেন শিক্ষকরা।

শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, প্রায়ই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের আসা যাওয়ার পথে অথবা বিদ্যালয়ে বখাটের দ্বারা শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। এগুলোর সঠিক বিচার না হওয়ায় বেতাগীর এই শিক্ষিকা বর্বোরচিত গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ নেক্কারজনক ঘটনায় এখন  পর্যন্ত  ছয়জন আসামীর মধ্যে মাত্র একজন আসামী গ্রেপ্তর হয়েছে। এক নম্বর আসামীসহ অন্য আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় নির্যাতিত শিক্ষিকা ও তার পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা