ঢাকা: ক্যাম্পাসের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতেও রোমান্টিকতার সাজে সেজেছে সবুজ চাদরে মোড়ানো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার সাথে সাথে ঈদের তৃতীয় দিনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় সত্যিই চাঞ্চল্য ও রোমাঞ্চকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। শিশু-কিশোরদের আনাগোনায় তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
ঢাকা, সাভার ও ক্যাম্পাসের আশেপাশের সাধারণ মানুষ নির্মল বাতাস ও প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে কেউ সপরিবারে আবার কেউ বন্ধুদের সাথে বেড়াতে আসে নৈসর্গিক লীলাভূমি খ্যাত এই ক্যাম্পাসে। বাইক ও প্রাইভেটকারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ্
শহীদ মিনার, চৌরঙ্গী, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, ক্যাফেটেরিয়া, অডিটোরিয়াম, সপ্তম ছায়ামঞ্চ, বোটানিক্যাল গার্ডেন এসব দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে আসা প্রকৃতিপ্রেমীদের আনাগোনা ছিল বেশি।
সপ্তম ছায়ামঞ্চে আড্ডারত এক যুগলকে ‘কেন ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছেন’ প্রশ্ন করতেই তরুণীটি বললেন, ‘আমরা মিরপুর থেকে ঘুরতে এসেছি। প্রথমবারের মতো জাবি ক্যাম্পাসে এসে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গেছি।
কল্পনায় যত সুন্দর ভাবতাম তার চেয়েও ক্যাম্পাসটা অনেক গুণ বেশি সুন্দর।’ এমন সময় তরুণীকে থামিয়ে দিয়ে সঙ্গে থাকা তরুণ বলে উঠলেন, ‘ফাঁকা ক্যাম্পাস, কোলাহল মুক্ত পরিবেশ, সত্যি অসাধারণ! আমরা দুজন খুবই উপভোগ করছি।’
এদিকে, আশুলিয়া থেকে বাবা-মার সঙ্গে সাথে ঘুরতে আসা ৭ বছরের মিতা বলে, ‘অনেক বড় শহীদ মিনার চত্ত্বরে খেলতে আমার খুব ভাল লাগছে।’ এ সময় তার হাতে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধক বিভিন্ন ধরনের ফুল দেখা যায়। এমনকি ঝাঁকড়া চুলের মধ্যে কয়েকটি ফুল দিয়ে মাথাটা সাজাতেও ভুলেনি এই শিশুটি।
ছুটির দিনে ফাঁকা ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের কারণে ক্যাম্পাসের আইসক্রিম, চা-বাদাম ও ফুচকা বিক্রেতারাও খুশি। আজ তাদের আয়ও হয়েছে বেশ।
তবে অনাকাঙ্খিত বাইক ও প্রাইভেটকারের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খেতে হয়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা কর্মীদের। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকতা সুদীপ্ত শাহীন ও তার সহযোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরালস পরিশ্রম করতে দেখা গেছে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ