ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের নতুন কৌশল

  • নাজমুল হুদা রাজ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭, ০৮:৩৮ পিএম
প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়ে কঠোর হলেও বসে নেই জালিয়াত চক্র। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে তারা বেছে নিয়েছে নতুন কৌশল। এক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র ফাঁস নয়, প্রবেশপত্রের মধ্যেই নতুন কৌশল প্রয়োগ করছে তারা।

অনুসন্ধান করে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীর সঙ্গে চুক্তির আগে জালিয়াত চক্রের প্রাথমিক শর্ত হচ্ছে পরীক্ষার আসন পড়তে হবে ক্যাম্পাসের বাইরে। প্রাথমিক শর্ত পূরণ হলেই কেবল দুই পক্ষের (জালিয়াত চক্র ও পরীক্ষার্থী) মধ্যে চুক্তি এগিয়ে যায়। তারপর সমঝোতার ভিত্তিতে করা হয় মোটা অংকের চুক্তি। আর চক্রের পক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীকে দেয়া হয় চান্স পাইয়ে দেয়ার ১০০% নিশ্চয়তা।

আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাবার বিষয় হচ্ছে, চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না। তার পরিবর্তে অন্য একজন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। আর পরীক্ষার হলে যেন ধরা না পড়ে সে লক্ষ্যে পরীক্ষার আগেই প্রকৃত পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে মিলিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীর ছবি প্রবেশপত্রে বিশেষভাবে বসানো হয়। এজন্য চুক্তির সময়ই নিয়ে নেয়া চুক্তিবদ্ধ পরীক্ষার্থীর ছবিসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাবলি।

পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সেজে জালিয়াত চক্রের এক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করা গেলেও এখন প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকায় তা করা সম্ভবপর হচ্ছে না। তাই নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে। কৌশল অনুযায়ী প্রবেশপত্রের ছবিতে এডিট করা হয় এবং অন্য একজনকে দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে দেয়া হয়।

এক্ষেত্রে কোনো ধরণের ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে সে জানায়, ঝামেলায় পড়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। আগেও এরকম করা হয়েছে। সে আরো জানায়, প্রবেশপত্রের ছবিতে মূল পরীক্ষার্থীর ছবি ৫০-৬০% পর্যন্ত পরিবর্তন করে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির ছবি বসানো হয়, যাতে সহজে ধরা না পড়ে।

যদি সব শর্তে রাজি হই তাহলে একজনকে ভর্তি করাতে কত টাকা লাগবে? জানতে চাইলে, সে ৬ লাখ টাকা দাবি করে।

এ বিষয়ে ঢাবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ বলেন, বিষয়টি আমাদের কানে এসেছে। আমরা অত্যন্ত তৎপর আছি, যাতে কেউ কোনো ধরণের জালিয়াতি করতে না পারে। পরীক্ষার হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক স্বাক্ষর করার সময় পরীক্ষার্থীর ছবি মিলিয়ে দেখে। তারপরও এবার আমরা চোখ-কান খোলা রাখছি।

সোনালনিউজ/ঢাকা/এনএইচআর/এমএইচএম