শিক্ষার্থীদের মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি সাবেক এমপির!

  • নিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০১৮, ০৮:০৬ পিএম

ঢাকা: আট দফা দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বেসরকারি এম এইচ শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীদের মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এম মকবুল হোসেন। 

রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পুলিশের উপস্থিতিতে জোর গলায় প্রকাশ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এ হুমকি দেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আট দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টা থেকে হাসপাতালের সামনে অবস্থান করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এম মকবুল হোসেন। তিনি পুলিশকে পাশে রেখে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। মকবুল বলেন, ধর্মঘট করলে তার কোনো সমস্যা হবে না। বেশকটি মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনিও বন্ধ করে দেবেন।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্যে করে সাবেক এ এমপি বলেন, ‘এমবিবিএস পড়তে আসছো, পাবনা জানো না, পাবনা মেডিকেল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। কী বাল… হয়েছে অথরিটির। কুমিল্লা মেডিকেল বন্ধ হয়েছে। কী বাল হয়েছে অথরিটির। প্রিন্সিপালের কী হয়েছে। তোমার পাঁচ বছর গ্যাপ হবে। তোমাকে এক্সফেইল করে দেয়া হবে।

তখন ওই শিক্ষার্থী মকবুলকে বলেন, আমার পাঁচ বছর মিস হয়, হোক। তবুও আমি দাবি আদায় করে ছাড়ব। আমার সঙ্গে সব শিক্ষার্থী একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

এরপর মকবুল হুমকি দিয়ে বলেন, ‘আমার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে সরকার। বলেছে, যারা ইতরামি করবে, খুলি উড়াইয়া দেবে। এ ব্যাটা এর সাহস কতো, ওর সাহস কতো? আরে ব্যাটা তুই তোর কথা চিন্তা কর। কতবার জেল খাটছোস।'

এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্যে করে সাবেক এমপি বলেন, ‘পাগল হয়ে গেছো, পাগলের কী দেখছো’। এ বলে তিনি শিক্ষার্থীদের দাবির লিখিত বক্তব্য ছিঁড়ে ফেলেন। আন্দোলন থেকে ওঠে হোস্টেলে ফিরে যেতে শমরিতা মেডিকেল কলেজের বিদেশি এক ছাত্রীকে উদ্দেশ্যে করেও হুমকি দেন মকবুল।

হুমকি শুনে শিক্ষার্থীরা আরও ফুঁসে উঠেন। বেতন বৃদ্ধি ও বন্ধসহ দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা মকবুলের হুমকিতে পিছু হটেননি। তারা শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা মেরে দেন। এরপর বেলা পৌনে ২টার দিকে শমরিতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেন।-জাগোনিউজ

সোনালীনিউজ/জেএ