ভর্তি পরীক্ষায় থাকছে ‘বিতর্কিত’ শিফট পদ্ধতি

  • জাবি প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৮, ০৫:০৯ পিএম

জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণির ভর্তি যুদ্ধ শুরু হচ্ছে রোববার। গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ ভর্তি যুদ্ধ শুরু হবে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়ে (শুক্রবার ও শনিবার বাদে) ভর্তি পরীক্ষা চলবে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। এবার ১৮৮৯টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে ৩ লাখ ৬ হাজার ২৭৪ জন ভর্তিচ্ছু। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৬২ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১৭৩ জন। তবে ভর্তিচ্ছু সংখ্যা বাড়লেও এবছর কমেছে আসন সংখ্যা। গতবছর আসন সংখ্যা ২০৩০ থাকলেও এবছর ১৪১টি আসন কমানো হয়।

এদিকে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরবির্তন আসলেও থেকে যাচ্ছে বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি। একই অনুষদের পরীক্ষা বিভিন্ন শিফটে নেওয়ার ফলে থেকে যাচ্ছে মেধা মূল্যায়নের বৈষম্য। বিভিন্ন অনুষদে ভিন্ন ভিন্ন শিফটে পরীক্ষা হওয়ায় মেধার সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না বলে দাবি করছেন সচেতন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

গতবছরের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত হওয়া ‘এ’ ইউনিটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৫ম শিফটে ১৫ জন ছেলে ও ১৪ মেয়ে চান্স পেলেও অন্য শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ৩-৪ জন। কোনো শিফটে প্রশ্ন কঠিন আবার কোনো শিফটে প্রশ্ন সহজ হওয়ায় এই বৈষম্য হচ্ছে বলে মনে করছে শিক্ষার্থীরা। তাই দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে জাবির এই শিফট পদ্ধতি নিয়ে। কিন্তু এবারও থাকছে সেই বিতর্কিত শিফট পদ্ধতি।

তবে এবছর ভর্তি পদ্ধতিতেও পরবির্তন আসছে। ভর্তির আবেদনের মতো অনলাইনে করা যাবে ভর্তি প্রক্রিয়ার কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়  রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ভর্তির সমস্ত কাজ এবার অনলাইনে করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসহ বিভিন্ন ফি নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাকাউন্ট নাম্বার (রকেট বা বিকাশ) দেওয়া হবে। সে নাম্বারে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফি পাঠিয়ে দিবে।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদে (সি ইউনিট) মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না আলাদা কোনো ক্যাটাগরি। এবছর থেকে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগীতা করে চান্স পেলেই ভর্তি হতে পারবেন। এমনটাই জানিয়েছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক।

প্রসঙ্গত, কলা ও মানবিকী অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ফলাফল ‘অন্যান্য’ নামের ক্যাটাগরিতে প্রকাশ করা হতো। যেই ক্যাটাগরিতে প্রতিটি বিভাগে মাদরাসার দুই থেকে তিনজন শিক্ষার্থীতে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হতো। যার কারণে দেখা যেত মাদরাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বেশি নাম্বার পেয়েও ভর্তি হতে পারতো না।

এই ইউনিটে আরেকটি পরিবর্তন এসেছে। ২০১৬-১০১৭ সেশনে ইংরেজিতে ন্যূনতম ১০ নাম্বার বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরের বছর তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু এ বছর থেকে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি অংশে নূন্যতম ৭ নাম্বার পেতে হবে বলে ডিন অফিস সূত্রে জানা যায়।

এবারের ভর্তি পরীক্ষার শীট মূল্যায়নে জটিলতা নিরসনে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে নিয়োজিত  শিক্ষকদের শীট পর্যবেক্ষণপূর্বক নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষরের পরিবর্তে স্পষ্ট করে পূর্ণ নাম লিখতে নির্দেশনা দিয়েছে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর