ডাকসু নির্বাচন

জোটবদ্ধ নির্বাচনে যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৯, ০২:১২ পিএম

ঢাকা : ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ হতে যাওয়া এ নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলো।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সমমনা দলগুলো নিয়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বাম সংগঠনগুলো প্রগতিশীল ছাত্রজোট আর কোটা আন্দোলনকারীদের সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেল নির্ধারণে কাজ করছে। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রদল।

গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. এসএম মাহফুজুর রহমান।

ছাত্ররা জানান, সবার একটা প্রত্যাশা ছিল ডাকসু নির্বাচন নিয়ে। সেই জায়গাটা এতদিন পর তৈরি হলো। এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তার পুরাতন ঐতিহ্য ফিরে পাবে। সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডাকসু নির্বাচন। সাধারণ ছাত্রদের মাঝেও এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কোন সংগঠন থেকে কারা অংশ নেবেন নির্বাচনে, সেটাই এখন আলোচনার মূল বিষয়। আছে বহু মত, বহু কথা। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার হচ্ছে ধীরে ধীরে। তা হলো জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মোটামুটি সব পক্ষ।

ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে আছে জাসদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রমৈত্রী, ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠন। টিএসসি কেন্দ্রিক আরো কিছু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করে প্যানেল দেবে ছাত্রলীগ। তাতে আরো যোগ দিতে পারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হুসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার আদায়ে আমরা আপসহীন লড়াই করেছি। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের ভোটে আমরা বিজয়ী হব।

বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রগতিশীল ছাত্রজোটে আছে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্রফ্রন্টের মতো সংগঠনগুলো। এ জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে সাম্রাজ্যবিরোধী ছাত্রঐক্য ও পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনগুলো। কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে আলোচনায় আসা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদও নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করবে। ছাত্রদল আছে সিদ্ধান্তহীনতায়। ফলে সংগঠনটির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারটি এখনো অনিশ্চিত। ছাত্রদল অংশ নিলে ডাকসু নির্বাচনের প্যানেল হবে ৪টি। এর বাইরেও যে কেউ পারবেন প্রার্থী হতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মহিন উদ্দিন রাজ বলেন, আমি স্বাভাবিকভাবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব সে সুযোগ এখানে নেই। আমাকে অনেকটা সীমিত জায়গার মধ্যে থেকে কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে।

সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নূরুল হক নূরু বলেন, আমরা এককভাবে অংশগ্রহণ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে চায়। তবে অনেকে সরাসরি রাজনীতি পছন্দ করে না, তাদের জন্য আমাদের প্লাটফর্ম উন্মুক্ত।

কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেন, জোটের বাইরে ছাত্র ঐক্যের পাশাপাশি আদিবাসী ছাত্র সংগঠন রয়েছে, তাদের সকলকে নিয়েই আমরা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসিয়ালি প্যানেল প্রকাশ করব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই