ঢাকা : সম্প্রতি ‘বেগমজান’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যাশিত ব্যবসা না করতে পারলেও নির্মাতা হিসেবে মোহাম্মদ আসলাম প্রশংসিত হন। ছবিতে তিনজোড়া মুখ নিয়েছিলেন এই নির্মাতা। সেখানে স্বল্পপরিসরে একটি চরিত্রে ছোট ও বিচ্ছিন্নভাবে বড় পর্দায় কাজের খোঁজে ইতিউতি করা ইরা শিকদার কাজ করেছেন অপর উঠতি চিত্রনায়িকা শিরিন শিলার বখাটে বান্ধবী চরিত্রে। একই নির্মাতা ফের একটি ছবির কাজ শুরু করেছেন।
ছবির নাম ‘সমাধান’। এ ছবিতে ইরাকে কাস্ট করেছেন আসলাম। ইরা এখানে একটি আবেদনময়ী আইটেম গানের কোরিওগ্রাফিতে অংশ নিয়েছেন। গানের তিনটি অংশের উত্তেজন একটি অংশ তিনি নিজ ফেসবুকে শেয়ারও করেন যা পরবর্তীতে মুছে ফেলেন। ভিডির পাশাপাশি কিছু স্থিরচিত্রও আপলোড করেছিলেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে কমার্শিয়াল গানের কথায় স্টেফ দিচ্ছেন ইরা। এর কোরিওগ্রাফি করেছেন সাইফ খান কালু। লাল রঙা ছোট পোশাকে দেহের উন্মাতাল ভঙিমায় ততক্ষণ পুরো পরিবেশকে মাতাল করে তুলেছিলেন ইরা। এক পর্যায় তার অন্তর্বাসও দেখা যেতে থাকে। যদিও এ ব্যাপারে ইরার দাবি কোরিওগ্রাফারের দাবির মুখে তিনি বাধ্য হয়েছেন শর্ট দিতে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেশ আগ্রহ নিয়ে নিজেকে আবেদনময়ী দেখানোর ভঙিমায় নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ওই ছবি এবং ভিডিওটি।
পরবর্তীতে এর নির্মাতা মোহাম্মদ আসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ফোর্স করার দিন আর নেই, ইচ্ছা না থাকলে কেউ তাকে দিয়ে করাবে না। তাছাড়া শর্ট নিয়েছি মানে এটাই ওকে নয়, সেন্সরের ব্যাপারটা মাথায় আছে ওই শর্টগুলো ফেলে দেবো। জ¦র শরীরেও ভালো ডান্স করেছে আশা করছি দর্শক পোশাক বা শরীর নয় ওর চমৎকার ডান্স দেখবে।
এদিকে ইরার ওই ভিডিও এবং স্থিরচিত্র নিয়ে সমালোচনার ঝড় চলছে। ফিল্মপাড়াকে যখন জাগিয়ে তোলার জন্য চেষ্টা চলছে তখন ইরাদের মতো কেউ কেউ বাড়তি খ্যাতি আর টাকার মোহে অর্ধনগ্ন হতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো এখনই থামানো না গেলে অশ্লীলতার তকমা আবারও ফিল্মপাড়াকে কুলষিত করতে পারে বলে একাধিক নির্মাতা -প্রযোজক -অভিনেত্রীদের মন্তব্য।
সোনালীনিউজ/এমটিআই