শুভ জন্মদিন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২০, ১২:২৭ পিএম

ঢাকা: ঢাকাই সিনেমার মন্দাকালেও যার সিনেমা নিয়ে সবসময় আশাবাদী থাকেন নির্মাতা-পরিবেশকরা, তিনি ঢালিউডের সুপারস্টার শাকিব খান। ২৮ মার্চ তার জন্মদিন। একাধারে সফল অভিনেতা ও প্রযোজক হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন শাকিব খান।

সেরা অভিনেতা হিসেবে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তার সাফল্যের চূড়ান্ত স্বীকৃতি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা তিনি। একের পর এক সফল সিনেমা উপহার দিয়ে ঢালিউডকে যেন তিনিই প্রাণবন্ত করে রেখেছেন। তাই তার ভক্ত-অনুরাগীরা নাম দিয়েছেন ‘ঢালিউড কিং’। 

১৯৭৯ সালের ২৮ মার্চ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘধীতে জন্ম নিয়েছিলেন এই জনপ্রিয় নায়ক। শাকিব খান তার পোশাকি নাম। তার আসল নাম মাসুদ রানা। বাবা আব্দুর রব ছিলেন সরকারি কর্মচারী। বাবার চাকরির সূত্রেই শাকিব খানের শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জেই। 

কৈশোরে বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন শাকিব খান। বড় হয়ে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবার করার স্বপ্ন লালন করতেন বুকে। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রতিও আগ্রহ ছিল। তখন আর বুঝতে পারেননি যে তার মধ্যে কত বড় অভিনয় প্রতিভা কাজ করছে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরপরই তার আগের স্বপ্নগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। 

১৯৯৯ সালে শাকিব খানের প্রথম সিনেমা মুক্তি পায়। এটি ছিল সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘অনন্ত ভালবাসা’। সিনেমাটি ব্যবসাসফল না হলেও নিজের স্বরূপ চেনাতে পেরেছিলেন শাকিব খান। তাই তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। এর পরের বছরই তৎকালীন শীর্ষ নায়িকা শাবনূরের বিপরীতে ‘গোলাম’ সিনেমায় অভিনয় করে সফল হন। এরপর পূর্ণিমার বিপরীতে ‘আজকের দাপট’, নায়িকা পপির বিপরীতে ‘দুজন দুজনার’ এবং মুনমুনের বিপরীতে ‘বিষে ভরা নাগিন’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শাকিব।

এরপর একের পর এক সাফল্যের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যান শাকিব খান। এখন পর্যন্ত চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক স্বীকৃতি-সম্মাননা লাভ করেছেন তিনি। ২০১০ সালের ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’, ২০১২ সালের ‘খোদার পরে মা’, ২০১৫ সালের ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ এবং ২০১৭ সালের ‘সত্তা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাকিব খান। তবে দুরন্ত ক্যারিয়ারে প্রশংসা ও সাফল্যের মধ্যেও তার কিছু বক্তব্য ও কাজের কারণে সমালোচিতও হয়েছেন বারবার।

২০০৮ সালেই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খান। দীর্ঘদিন ঘটনা চাপা থাকলেও ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল এ কথা নিজেই প্রকাশ করেন অপু বিশ্বাস। তাদের ঘরে আবরাম খান জয় নামে একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। তবে ঘটনা জানাজানির পরপরই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

তবে সকল সমালোচনা পেরিয়ে শাকিব খানই ঢালিউডের ‘ভাইজান’, ‘কিং খান’, ‘বাদশাহ’ ও ‘শাহেনশাহ’। চলতি বছরে শাকিব খান অভিনীত সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘বীর’। এ মুহূর্তে তার ঝুলিতে রয়েছে ‘পাসওয়ার্ড ২’, ‘ফাইটার’ ও ‘কবি’ সিনেমার কাজ।

সোনালীনিউজ/এইচএন