সাহসী মিমি

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ০১:৪৩ পিএম

ঢাকা : নারীদের রাস্তাঘাটে বিভিন্ন হয়রানির শিকার হতে হয়। এসব ঘটনা নতুন নয়। নানা উদ্যোগ ও সচেতনতার ব্যবস্থা করা হলেও ঘরের বাইরে মেয়েদের নির্যাতন যেন বেড়েই চলছে। সম্প্রতি কলকাতার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর মতো প্রভাবশালী নারীও হয়রানির শিকার হলেন।

এক ট্যাক্সিচালক তাকে কটূক্তি করে বসে রাস্তায়। সাংসদ মিমিও দমে যাননি। সঙ্গে সঙ্গে সেই চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। ঘটনাটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত মিমি জিম থেকে বাড়ি ফেরার সময়। ওইদিন গভীর রাতে বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি এলাকায় ট্রাফিক সিগনালে যখন মিমির গাড়ি দাঁড়িয়েছিল তখন একটি ট্যাক্সি তার গাড়িকে ওভারটেক করে। মিমি কাচ নামিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছে।

মেজাজ হারিয়ে গাড়ি থেকে নামেন মিমি। ট্যাক্সিচালককেও টেনে নামান। ধমকে বলেন, তাকে পুলিশে দেওয়া হবে। ততক্ষণে রাস্তায় লোক জমে যায়।

এরপর মিমি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাচক্রে ওইদিন মিমির দেহরক্ষী তার সঙ্গে ছিলেন না।

এ ঘটনা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার মিমি পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে বলেন, ‘সরকারি গাড়ি দেখেও যদি এক ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল ইঙ্গিত ও মন্তব্য করতে পারে, তা হলে সাধারণ মেয়েদের কী অবস্থা হতে পারে!’

পুলিশের বক্তব্য, মিমির কল পেয়ে ডিউটিরত সার্জেন্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সিসহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

এদিকে, জীবাণুনাশক দিয়ে সবকিছু মুছেও কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না বলে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেছেন কলকাতার অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে নিজের খুঁতখুঁতে অভ্যাসটা আগের চেয়ে আরো বেড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও আপলোড করেন মিমি। সেখানে দেখা যায়, মুখে মাস্ক পরেই ঘর পরিষ্কারের কাজে কোমর বেধে নেমে পড়েছেন তিনি। উইন্ডোগ্লাস থেকে কুশান কভার সব নিজেই ঝেড়েমুছে পরিষ্কার করছেন।

সেই সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ওসিডি, কিন্তু আমি এতে বেশ মজা পাই।’ তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও সংসদ সদস্য অভিনেত্রী বলেছেন এই পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে তিনি খুবই খুঁতখুঁতে। আর এই নিয়ে পরিচিতজনরা মজা করতেও ছাড়েন না। হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার লাগানো এসব তিনি করোনা আসার অনেক আগে থেকেই করে আসছেন।

এ ছাড়া তিনি বাড়ির বাইরে খুব একটা খাবার খান না। শুটিংয়ে গেলে নিজের জন্য আলাদা কফি মগ, কফি মেকার সবই সঙ্গে করে নিয়ে যান। কিছুদিন আগেই এসওএস কলকাতার শুটিং সারলেন মিমি। সঙ্গে ছিলেন যশ আর নুসরাতও। শুটিং সেট থেকেও তিনি একটি ভিডিও আপলোড করে দেখিয়েছিলেন কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন তারা। এ বিষয়ে মিমি জানান, তিনি একটু বেশিই সচেতন, আর তাই মাথায় সংক্রমণের ভয় নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে গায়েও বডি স্প্রের মতো স্যানিটাইজার স্প্রে করে ফেলেছেন। কিন্তু এসব নিয়ে দিব্যি খুশি আছেন মিমি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই