ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২১, ০৯:১৯ পিএম

ঢাকা: চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে কর্মীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজধানীর গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৬ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে অল কমিউনিটি ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ক্লাবটির সভাপতি কে এম আলমগীর ইকবাল।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লাবে কিছুদিন আগে (৮ জুন) ছোট্ট একটি অঘটন ঘটেছিল। আমাদের ক্লাব বন্ধের সময় হয়ে এসেছিল। তখন কয়েকজন লোক ক্লাবে আসেন। গেটে দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটি গার্ডরা ফোন করে জানান, তারা কিছুক্ষণ আগে একবার এসেছিলেন। তখন তারা ফোন ও কিছু কাগজ রেখে গেছেন। সেগুলো নেয়ার জন্য আবার এসেছেন।’

আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন আছে। বিশেষ করে কোনো মেয়ে যদি ক্লাবে আসে তাহলে তাকে কিছু ড্রেস কোড মেনে আসতে হয়। সেদিন এখানে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে একজন ছিলেন হাফপ্যান্ট ও স্যান্ডেল পরা। তখন আমাদের কর্মকর্তারা বলেন, আপনারা তো ক্লাবের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তাদের ক্লাব থেকে এটা বলায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’

ক্লাবের লিফটের সামনে সাবেক প্রেমিক তামিম হাসানের সঙ্গে পরীমনি।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সময়ে তারা যে সদস্যদের মাধ্যমে ক্লাবে আসেন তিনিও তাদের চলে যেতে বলেন। কিন্তু তারা যেতে চাননি। পরে বাধ্য হয়ে আমাদের সেই সদস্য চলে যান। এর মধ্যে আমাদের ক্লাবের সব কর্মকর্তা চলে যান। শুধু দুজন ওয়েটার ছিল। এরই মধ্যে তারা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশ ডাকেন। পুলিশ এলে তারা ক্লাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তাদের হেনস্তার অভিযোগ করেন। কিন্তু বাস্তবে তখন আমাদের তেমন কেউ ছিল না। ঘটনার সময় তখন রাত ১টা থেকে দেড়টা বাজে। বরং এই সময়ে একজন আমাদের ক্লাবের ১৫টি গ্লাস, নয়টি অ্যাসট্রে, বেশকিছু হাফ প্লেট ভাঙেন। পরে আমরা জানি, তার নাম পরীমনি। পুলিশ এসেও এর সত্যতা পায়। পরে পুলিশ ঘটনার বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতনদের জানায়। তারা ওই পুলিশ সদস্যদের চলে যেতে বলেন।’

এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী যে সদস্যের মাধ্যমে তারা এসেছিলেন, আমরা তাকে শোকজ করেছি।’

ক্লাবের আইন ভাঙার শাস্তি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়। ক্লাব থেকে শোকজ ও তিন মাস, চার মাস সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এছাড়া অপরাধের মাত্রা বেশি হলে আজীবনের জন্য সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।’

এদিকে, পরীমনির বিরুদ্ধে জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করা হয়েছে বলা হলেও সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কিছু বলেননি ক্লাব সভাপতি। 

গুলশান থানা পুলিশ জানিয়েছে, গত ৭ জুন গভীর রাতের এ ঘটনায় বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় জিডি বা মামলা হয়নি। তবে পুলিশ নতুন করে ওই ঘটনা তদন্তে ক্লাব পরিদর্শনে যাবে।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,সেই রাতে ৯৯৯ এ কল পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি টিম অল কমিউনিটি ক্লাবে যায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে পরীমনি ক্লাবে গ্লাস ভাংচুর করেছেন। পরে আর এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ না করায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৭ জুন রাতে কমিউনিটি ক্লাবে ভাঙচুরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।’

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অভিযোগ যে, ওনি আনঅথরাইজড ওখানে গেছেন। তারপর ক্লাব মেম্বারসদের যে জায়গা ছিল, ওখানে নাকি বসতে চেয়েছেন, তারপর নাকি ভাঙচুর করেছেন। এইগুলো আরকি।’

সোনালীনিউজ/আইএ