পেটের দায়ে সাবান বিক্রি করছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২, ১২:৩৫ পিএম
ভারতের সাধারণ মানের সবান বিক্রি করে উপার্জন করতে হচ্ছে অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়াকে। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

ঢাকা : এক সময় একের পর এক অনেক সুপারহিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন ভারতের দক্ষিণী জনপ্রিয় নায়িকা ঐশ্বরিয়া। দর্শকদের মনে বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছিলেন। তিনি বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী লক্ষ্মীর মেয়ে। সেই ঐশ্বরিয়াকে পেটের খুদা মেটাতে বাড়ি বাড়ি সাবান বিক্রি করে উপার্জন করতে হচ্ছে।

ঐশ্বরিয়ার বাস্তব জীবনের এই করুণ পরিণতি যেকোনো গল্প-সিনেমাকে হার মানাবে। তার মায়ের ঝুলিতে রয়েছে ১০টি ফিল্মফেয়ার ও একটি জাতীয় পুরস্কার। ঐশ্বরিয়ারও বৈভব কম ছিলো না। নামের সাথে মিল রেখে সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে অনেক ঐশ্বর্য অর্জন করেছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ সংসার চালাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাকে সাবান বিক্রি করতে হচ্ছে।

১৯৮৯ সালে তেলেগু সিনেমা ‘আদিভিলো অভিমন্যুডু’তে অভিনয় করে সিনেমা জগতে পা রাখেন ঐশ্বরিয়া। এই সিনেমায় তার বিপরীতে ছিলেন জগপতি বাবু। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি দক্ষিণের একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেন। দক্ষিণের বিভিন্ন ভাষায় ২০০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

তেলেগু ছাড়াও তামিল, মালয়ালাম, কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতেও তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। এত সাফল্যের পরও টাকার অভাবে বর্তমানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

দক্ষিণী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া। ছবি: আনন্দবাজার পত্রিকা

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৪ সালে তানভির আহমেদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই নায়িকা। বিয়ের পরেই সিনেমা জগতকে বিদায় জানান তিনি। মাত্র দুই বছর পর ১৯৯৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ তার। তারপর থেকেই অভাব যেনো তাকে পেয়ে বসে।

অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক থাকাকালীন সময়ে টেলিভিশনে কাজ খুঁজেছেন তিনি। কিন্তু বিধাতা চোখ তুলে তাকাননি তার দিকে। কোথাও কোনো কাজের সুযোগ পাননি তিনি। পরে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত নেন ওই অভিনেত্রী। সেখানেও তিনি ব্যর্থ।

বর্তমানে অর্থের প্রয়োজনে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাবান বিক্রি করছেন ঐশ্বরিয়া। উপার্জনের সেই  টাকা দিয়ে তার সংসার চলছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই