ক্যারিয়ারের তিন দশকে মৌসুমী

‘এই স্বপ্ন যদি দেখতাম, তাহলে স্বপ্ন দেখেই মারা যেতাম’

  • বিনোদন ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম

ঢাকা : তিন দশক আগে আজকের এই দিনে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমা, যা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি পেয়েছিল একটি নতুন জুটি ও দুই সুপারস্টার।

এ সিনেমা দিয়েই বড়পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ ও মৌসুমীর। মুক্তির পর রীতিমত বাজিমাত করেন এ জুটি।

দেখতে দেখতে ত্রিশ বছর হয়ে গেল সিনেমাটির এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমীর ক্যারিয়ারের। এরপর অভিনয় করেছেন প্রায় দুই শতাধিক সিনেমায়। অভিনয়ের ফাঁকে কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি (২০০৩) এবং মেহের নিগার (২০০৬) সিনেমা দুটি পরিচালনাও করেন মৌসুমী।

ক্যারিয়ারের ত্রিশ বসন্ত পার প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে মৌসুমী বলেন, ‘আমার ছবির প্রস্তাবগুলো আসত গুলজার (পরিচালক মুশফিকুর রহমান) ভাইয়ের মাধ্যমে, তখন তিনি সাংবাদিকতা করতেন। সাক্ষাৎকার নিতে একদিন ঢাকায় আমাদের মোহাম্মদপুরে হুমায়ূন রোডের বাসায় এসেছিলেন, সঙ্গে ভাই–বন্ধু হয়ে এসেছিলেন সোহান ভাই। চলচ্চিত্রে আগ্রহী কি না, কৌশলে জানতে চান। তখন আমি মডেলিং করি। মধ্যবিত্ত পরিবার, তাই নাটকে অভিনয়ের চেষ্টা করিনি।’

প্রথম সিনেমার প্রথম দিনের শুটিংয়ের দিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে ভয়ে কাঁপছিলাম। একটি দৃশ্য ছিল, ওই দিন একটা বাইকে সালমান আর আমি এফডিসি থেকে কাঁচপুরে গেছি। আবার ফিরে আসি। কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিতে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ছিল ওটা। ক্যামেরার সামনে ভয়ে কাঁপতে থাকা সেই আমি আজ ত্রিশটা বছর পার করে দিলাম! অবিশ্বাস্য। সত্যিই, কেমন যেন লাগে!’ বললেন মৌসুমী। ‘এই স্বপ্ন যদি দেখতাম, তাহলে স্বপ্ন দেখেই মারা যেতাম’

‘যখন পেছনে ফিরে তাকাই, দেখা যায়, এই স্বপ্ন যদি দেখতাম, তাহলে স্বপ্ন দেখেই মারা যেতাম। ৩০ বছর সমানতালে জনপ্রিয় থাকবে একটা ছবি, আমাকে “কেয়ামত-কন্যা” ডাকবে!

এখনো সালমান মানে আমি, আমি মানে সালমান যে ভাববে, অথবা কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির প্রতিটি গান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে স্পর্শ করবে, এসব ভাবার মতো শক্তি আল্লাহ দেননি। এটা তার দান। এটা মানুষ কখনো সৃষ্টি করতে পারে না।’ বলেন মৌসুমী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই