‘চিলেকোঠার গল্প’ নাটকে ভাবনার তিন নোলক

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০১৬, ০১:৩৫ পিএম

চারুকলায় পড়ে ও আঁকাআঁকির মাধ্যমে ছবি বিক্রি করে এমন মেয়েরা একটু অন্যরকম হয়। তাদের সাজগোজ থাকে আলাদা। তাই এরকম একটি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য আড়ং থেকে তিনটি নোলক বানিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। ‘চিলেকোঠার গল্প’ নামের নাটকে তাকে এগুলো পড়তে দেখা যাবে।

এখানে ভাবনার চরিত্রের নাম রানু। সে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার ছাত্রী। বাবা-মা থাকেন গ্রামে। রাত জেগে ছবি আঁকে। দিনে টিউশনি করে, ছবি বিক্রি করে, ফ্রিল্যান্স আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে দিনরাত কাজ করে কোনোভাবে চলে। ঢাকায় পড়াশোনা করতে এসে যে সমস্যাটা রানুকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে তার নাম আবাসন। চারুকলায় পেইন্টিং নিয়ে পড়ার কারণে তার জীবনযাত্রার ধরন ও অনুষঙ্গ একটু অন্যরকম।

মেয়েদের হোস্টেলের সীমিত সুযোগে সৃষ্টিশীলতার চর্চা যথাযথভাবে হয়ে উঠবে না সেটা ভালোই বুঝতে পেরেছিলো রানু। তারপর থেকেই নানারকম প্রচেষ্টা। কয়েকজন মিলে ফ্ল্যাট ভাড়া, আত্মীয়ের বাসায় পেইং গেস্ট, বান্ধবীর বাসায় সাবলেট। সবখানেই প্রথম কিছুদিন খুব সুন্দর যায়, তারপর মাস শেষ না হতেই শুরু হয় নানারকম সমস্যা।

তাই রানু চাইছে নিজের মতো করে থাকার জন্য আলাদা এক টুকরো জায়গা। সেটা চিলেকোঠা হলে বেশি ভালো হয়। অনেক ঘুরে অবশেষে ছয়তলা বাড়ির ছাদে এক রুমের একটি চিলেকোঠা ভাড়া নিতে পারে রানু। এটা পেতে লম্বা সাক্ষাৎকারের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। মালিকের প্রধান শর্ত একটাই- কোনো ব্যাচেলর ভাড়া দেবেন না। ‘বাচ্চা-কাচ্চাহীন শিক্ষিত দম্পতির অগ্রাধিকার।’

পরিচিত বড় ভাই রাশেদের বুদ্ধিতে তাকেই স্বামী সাজিয়ে চিলেকোঠা ভাড়া পায় রানু। প্রেমিক জামাই সেজে মিথ্যে কথা বলতে চায় না। পরে ধরাও পড়ে। একদিন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে বাসা ছেড়ে দেওয়ার নোটিশ আসে। নিয়তি মেনে আবার নতুন বাসা খুঁজতে পথে নামে রানু। এবার প্রকৃতই তার সঙ্গী হয় রাশেদ। নাটকটিতে রাশেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মীর রাব্বী। এ ছাড়াও আছেন ঝুনা চৌধুরী, ফারহানা মিঠু প্রমুখ। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন প্রসূন রহমান, পরিচালনায় ফয়সাল রাজিব।

গত ২৫ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে। আসছে ঈদুল আজহায় দেশ টিভির বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় প্রচার হবে ‘চিলেকোঠার গল্প’।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই