ঢাকা: একসময় এক ছাদের তলায় থাকতেন, কিন্তু ইদানিং মানসিকভাবে বনিবনা না হওয়ায় দু’জনের সম্মতিতেই দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে সংগীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের। আর স্ত্রী বিচ্ছেদের বিষয়টি যাতে সবাই স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করেন সে বিষয়ে সবার প্রতি আহ্বান জানান এই সংগীতশিল্পী।
২০১১ সালে প্রেম করে বিয়ে করার পর সদ্য দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানের সঙ্গেও বিচ্ছেদ হলো হাবিবের। বিচ্ছেদের বিষয়টি ঘটেছে জানুয়ারি মাসে। সেসময় বিষয়টি চুপিসারে ঘটলেও সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারে আসে। তারপর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন হাবিব।
স্ত্রী বিচ্ছেদ নিয়ে হাবিব জানান, গত ১৯ জানুয়ারী দুর্ভাগ্যক্রমে আমার এবং রেহানের(স্ত্রী) সমঝোতামূলক বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আসলে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের ঘটনা নতুন কিছু নয় এবং আমাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। বিগত ৫ বছরে আমরা একে অপরকে জানার সময় পাই এবং ক্রমে বুঝতে পারি যে আমাদের লাইফস্টাইল ভিন্ন এবং এক পর্যায়ে আমরা দুজনেই এটা উপলব্ধি করি যে আলাদা হয়ে যাওয়াটাই আমাদের দু’জনের উভয় শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য সবচাইতে উত্তম সমাধান।
স্ত্রী বিচ্ছেদের বিষয়টি সবাইকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে হাবিব আরো বলেন, আমাদের একটি পুত্র সন্তান আছে যার নাম আলীম ওয়াহিদ এবং অবশ্যই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর মানসিক বিকাশ এর কথা সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে আমি সবসময় চাইবো আমার ও রেহান এর মধ্যে সবসময় একটি পারস্পরিক সম্মানজনক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকুক। আমি সবাইকে বিনীত অনুরোধ করবো এই বিষয়টি স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করার জন্যে। কারণ দুঃখজনক হলেও মানুষের জীবনে এরকম ঘটনা ঘটতেই পারে। সেই সাথে আমি সবাইকে এটাও বিনীত অনুরোধ করবো এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে কোনো অতিরিঞ্জিত ও মুখরোচক সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে।
২০০৩ সালে প্রথম লুবায়না নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন হাবিব। বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে তার। এরপরে হাবিব প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে মডেল মোনালিসা'র সঙ্গে বিতর্কিত হন। তাদের বিয়েও নাকি চূড়ান্ত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের বিয়ে হয়নি। তবে আবারও প্রেমে পড়েছিলেন হাবিব।
চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানের প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করেছিলেন ২০১১ সালে। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই বিয়ে হয়েছিলো তাদের। তবে এই সংসারও টিকলো না হাবিবের।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল