‘৬ বছরের ক্যারিয়ার-এ এতো অবাক কখনো হই নাই’

  • বিনোদন প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২০, ২০১৭, ০৩:০০ পিএম

ঢাকা: এফডিসি কেন্দ্রীক কোনো মসল্লাদ্বার সিনেমা নয়, বরং এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে জয়জয়কার শৈল্পিক ধারার সিনেমাগুলোই। তবুও বিতর্ক এড়াতে পারলো না জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কমিটি। এমনকি জুরি বোর্ডের কিছু সিদ্ধান্তকে অনেকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৫ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পুরস্কারের ফিরিস্তি দেখে অনেকে তীব্র সমালোচনাও করেছেন।  

২০১৫ সালে নির্মিত সিনেমাগুলোর মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জনের দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলো দেশে বিদেশে প্রশংসিত আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত সিনেমা ‘জালালের গল্প’। বিদেশের মাটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার নিয়ে এলেও বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে উপেক্ষিত থেকে গেলো ছবিটি। তবে সবাইকে অবাক করে একটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নিয়েছে জালালের গল্প। অথচ যে ক্যাটাগরিতে ছবিটি পুরস্কার অর্জন করে নিলো, তার কোনো ছোঁয়া নেই পুরো ছবিতে! 

হ্যাঁ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৫-এ ‘জালালের গল্প’কে উপেক্ষা করা হয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন চলচ্চিত্রমোদিরা। যে ছবিটি অনায়াসে ‘সেরা ছবি’র পুরস্কার পেতে পারতো, অথচ সেই ছবির ভাগ্যে জুটেছে ‘সেরা মেকাপ’-এর পুরস্কার! অথচ নির্মাতা ও ছবির কলাকৌশলীদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এই ছবিতে কোনো মেকাপ-ই ব্যবহার হয়নি! শুধু ছবিতে তৌকির আহমেদের গোঁফটা মেকাপম্যান করেছে। এমন অবস্থায় অনেকে হাসাহাসি করছেন যে, শুধু গোফ লাগিয়েই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিলো ‘জালালের গল্প’! প্রশ্ন উঠছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কাদেরকে জুরি করা হয়েছে!

গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো থেকে বঞ্চিত করে ‘সেরা মেকাপ’ বিভাগে পুরস্কার জেতায় বিস্মিত ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করা মৌসুমী হামিদ। তিনি জানান, ৬ বছরের ক্যারিয়ার-এ এতো অবাক কখনো হইনাই। জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার-এর জালালের গল্পের ‘মেকাপ’-এ পুরষ্কার দেখে যা হইছি। মেকাপে! হোয়াট অ্যা রাবিশ!

এরপরই তিনি জানান, জালালের গল্প সিনেমায় মেকাপ বলতে শুধু ছিলো তৌকির আহমেদের গোঁফ। জুরি বোর্ডের কাছে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জালালের গল্পে তৌকির ভাই এর গোঁফ ছাড়া মেকাপ-এ কিছু ছিলো না। কেউ কোনো মেকাপ-ই ব্যাবহার করে নাই। জুরি কি দেখে এটা দিল ...?   

গেল বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক তথ্য বিবরণীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পে গৌরবোজ্জ্বল ও অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৫টি ক্ষেত্রে বিশিষ্ট শিল্পী ও কলাকুশলী এবার জাতীয় চলচ্চিত্রের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আর তারমধ্যে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে নির্মিত দুই সিনেমা অনীল বাগচীর একদিন ও বাপজানের বায়োস্কোপ। এবং সেরা পরিচালক বিভাগেও যৌথভাবে নাম ঘোষণা হয়েছে ‘অনীল বাগচীর একদিন’ নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম ও ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ নির্মাতা রিয়াজুল রিজুর।  
 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিএল