হারিয়েছি যেসব শোবিজ তারকা

  • এন ডি আকাশ | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭, ০৪:২৬ পিএম

ঢাকা: হাঁটি হাঁটি করে শেষ হয়ে গেল আরো একটি বছর। বছরজুড়ে শোবিজে নতুনদের যেমন আগমন ঘটেছে তেমনি অনেক খ্যাতিমানদের আমরা হারিয়েছি। যাদের পদচারণায় আমাদের শোবিজ অঙ্গন সমৃদ্ধ হয়েছিল। যাদের চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে শোবিজে। তাদের চলে যাওয়া সবাইকে ব্যাথিত করেছে।

নায়করাজ রাজ্জাক: বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা নায়করাজ রাজ্জাক। দুই বাংলায় তিনি সমান জনপ্রিয়। অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২১ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় চলচ্চিত্রপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। কয়েক দফা জানাজা শেষে ২৩ আগস্ট তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার এ চলে যাওয়ায় চলচ্চিত্রে যে শুন্যতা তৈরি হয়েছে তা অপূরণীয়।

আবদুল জব্বার: বাংলা গানের কিংবদন্তি, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, হার্ট, প্রস্টেটসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ আগস্ট মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ৩১ আগস্ট বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হন আব্দুল জব্বার।

লাকী আখন্দ: বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক, সুরকার, কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ। ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক এ শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন। ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা ও সংগীতশিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

বারী সিদ্দিকী: উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুরকার, গীতিকার, বংশীবাদক ও সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকী। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর না-ফেরার দেশে চলে যান। তার দুটি কিডনি অকার্যকর ছিল। তিনি বহুমূত্র রোগে ভুগছিলেন। ২৫ নভেম্বর বারি সিদ্দিকীর ‘বাউল বাড়ি’ নেত্রকোনার চল্লিশা গ্রামে তাকে দাফন করা হয়।

মিজু আহমেদ: ঢাকাই চলচ্চিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিজু আহমেদ। দাপটের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলতি বছরের ২৭ মার্চ ইলিয়াস ভূঁইয়ার পরিচালনায় ‘মানুষ কেন অমানুষ’ সিনেমার শুটিং করতে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে ট্রেনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান চলচ্চিত্রের এই অভিনেতা। কয়েক দফা জানাজা শেষে পরদিন তার লাশ কুষ্টিয়া জেলার কোটপাড়ায় নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।

নাজমুল হুদা বাচ্চু: চলচ্চিত্র ও নাটকের প্রবীণ অভিনেতা নাজমুল হুদা বাচ্চু। চলতি বছরের ঈদের দুদিন আগে শুটিং থেকে ফিরে জ্বরে আক্রান্ত হন। রক্তচাপ অনেক কমে যাওয়ায় ঈদের দিন দুপুরে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষার পর তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে। গত ২৮ জুন ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আবদুর রাতিন: মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা আবদুর রাতিন। চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে লিভার ও কিডনিজনিত জটিলতা ধরা পড়ে। অবশেষে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চলতি বছরের ১৮ জুলাই না-ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। নারিন্দার বিনোদ বিবি মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে আবদুর রাতিনকে সমাহিত করা হয়।

সোনালীনিউজ/বিএইচ/জেএ