সারাদেশে কবে হতে পারে বৃষ্টি, জানাল আবহাওয়া অফিস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১২:১৩ পিএম

ঢাকা: তীব্র দাবদাহে পুড়ছে দেশ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। প্রত্যেকের মনে একটাই প্রশ্ন এখন কবে হবে স্বস্তির বৃষ্টি। এই কৌতুহলের মধ্যেই বৃষ্টি কবে হতে পারে তার সম্ভাব্য সময় জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৃষ্টির এ পূর্বাভাস জানান অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশজুড়ে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র অতি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের বাকি এলাকাগুলো দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। 

এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই আজ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ ধরনের বৃষ্টি দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহ কমাবে বলে মনে করেন না আবহাওয়াবিদেরা। তাপপ্রবাহ কমাতে চাই দেশজুড়ে বৃষ্টি।

[222398]

মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, এই তাপপ্রবাহের মধ্যে দেশের দু-এক স্থানে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে। এখন এর পরিধি বাড়বে ধীরে ধীরে। আবহাওয়া অফিস আগামী তিন দিনের আবহাওয়া পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে। 

সেখানে দেখা যাচ্ছে, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক বিভাগের কথা বলা হলেও আগামীকাল সিলেটে এবং চট্টগ্রামে বৃষ্টির বিস্তৃতি বাড়তে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার এই দুই বিভাগের সঙ্গে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগেরও দু-এক জায়গায় বৃষ্টির কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। তবে আগামী ৪ থেকে ৫ মে দেশের বড় অংশ জুড়ে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহীনুল ইসলাম।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশে এবং ঢাকাতেও চলতি বছরের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।  

এআর