বাংলাদেশে রিকশা এলো যেভাবে

  • সোনালীনিউজ ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ১০:৪৩ পিএম

ঢাকা: সহজলভ্য বাহন রিকশা একদিনেই আসেনি বাংলাদেশে। আজ জেনে নিন রিকশা আগমনের ইতিহাস।

রিকশার উৎপত্তি: ‘রিকশা’ শব্দটি জাপানি। মূল শব্দ ‘জিন রিকিশা’, যার অর্থ ‘মনুষ্য চালিত যন্ত্র’। রিকশার উৎপত্তি জাপানে। তবে জাপানি রিকশাগুলো তিন চাকার ছিল না। সেগুলো দুই চাকায় ভর করে চলত। একজন মানুষ তা টেনে নিয়ে যেতেন।

আবিষ্কারের ইতিহাস: রিকশা আবিষ্কারের সঠিক ইতিহাস নিয়ে অনেক মতভেদ আছে। তবে অধিকাংশের মতানুসারে, এটি ১৮৬৯ সালে জাপানে আবিষ্কৃত হয়। ১৮৬৯ সালে ইজুমি ইউসুকি, যিনি সুজুকি টোকোজিরো এবং তাকাইয়ামা কোসুকিকে সাথে নিয়ে যৌথভাবে এটি আবিষ্কার করেন।

ক্রমবিকাশ: জাপানে সৃষ্টি হয়ে রিকশা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জাপানের দুই চাকার রিকশা থেকে তিন চাকার রিকশায় বিকশিত হয়। জাপানের রিকশাকে ‘হাতেটানা রিকশা’ বলা হয়। জাপানের পর বিশেষ করে ভারতে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভারতে রিকশা: ভারতে এখনো বিভিন্ন রকমের রিকশা দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষ করে কলকাতা শহরে হাতেটানা রিকশা এখনো চলে। বিশের দশকে ভারতে ‘সাইকেল রিকশা’ প্রবর্তিত হয়। এ ধরনের রিকশাও অনেক দিন ধরে ব্যবহৃত হয়েছে।

বাংলাদেশে রিকশা: বাংলাদেশে রিকশা জাপান থেকে আসেনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় অনেক পরেই এসেছে বাংলাদেশে। ঢাকায় রিকশার আগমন ঘটে ১৯৩০ সালের দিকে। যদিও ‘রিকশা’ বলতে হাতেটানা রিকশাকেই বোঝানো হতো। তবে বাংলাদেশে এসে এর ধরনও পাল্টাতে থাকে।

বাংলাদেশর ধরন: দেশভেদে এর গঠন ও ধরনে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। তাই বাংলাদেশে তিন চাকার রিকশা ব্যাপক পরিচিত। সাইকেলের আদলে বানানো রিকশায় পেছনে দুটি চাকা থাকে। সিটে দু’জন বসার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কখনো কখনো দুই জনের বেশি লোকও উঠে থাকেন।

যন্ত্রচালিত রিকশা: পায়ে চালানো রিকশা থেকে একসময় যন্ত্রচালিত রিকশার উদ্ভব হয়। চালক শুধু হ্যান্ডেল ধরে বসে থাকেন। রিকশায় সংযুক্ত বিশেষ মটর রিকশাকে টেনে নিয়ে যায়। এছাড়া সৌরবিদ্যুৎ দ্বারাও এটি চালনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

আলোচিত রিকশা: রিকশার কারণে ঢাকা শহর চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ঢাকাকে বলা হয়ে থাকে ‘রিকশার শহর’। যানজটের জন্য অভিযুক্ত করা হয় এ বাহনকে। তাই মূল সড়ক থেকে রিকশা সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়।

সোনালীনিউজ/এইচএন