হাঁসের খামার গড়ে অনার্স পড়ুয়া আখিঁর স্বপ্ন পুরণ

  • কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২০, ০৪:০৯ পিএম

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী গ্রামের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ আরিফা সুলতানা আখিঁ, করোনাকালীন সময়ে বাড়িতে বসে না থেকে নিজের স্বপ্ন পুরণ করতে নিজ উদ্যোগে বাড়ীর পাশে নদীর উপর গড়ে তুলেছেন বেইজিং হাঁসের খামার । নিজের আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি সহযোগিতা পেলে এলাকার কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থান করবে এমনটাই আশা তার। সারাদেশে মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে, বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ, ঠিক তখনি উপজেলায় শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকাজী গ্রামের অনার্স তৃতীয় বর্ষে বাংলা বিভাগের পড়ুয়া মেয়ে মোছাঃ আরিফা সুলতানা আঁখি। করোনা কালীন সময়ে নিজ বাডীতে বসে না থেকে নিজের স্বপ্ন পূরণ ও আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য বাড়ীর পাশে নদীর উপর ঘর করে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন বেইজিং হাঁসের খামার।২০১৯ কুড়িগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে হাঁস-মুরগি পালনের উপর এক মাসের ট্রেনিং গ্রহণ করেন আখি। সোনাইকাজী গ্রামের কৃষক আজিজার রহমান ও গৃহিণী সালেহা খাতুন এর মেয়ে আঁখি। বর্তমানে তার খামারে দেড় শতাধিক বেইজিং হাঁসের বাচ্চা রয়েছে। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে আরও বড় পরিসরে খামার গড়ে তুলতে চান আখি, সেই খামারে কর্মসংস্থান করে দিতে চান এলাকার কমর্হীন মানুষদের আখির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তার এলাকার মানুষ।

আখিঁর মা সালেহা বেগম জানান, আমার মেয়ের অনেক দিনের স্বপ্ন সে একটি হাঁসের খামার দেবে আমরা তাকে কিছুটা সাহায্য করেছিলাম, আমরাতো অভাবী মানুষ তাকে যদি সরকার একটু সাহায্য করে সে খামাটিকে আর বড় করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।

গ্রামবাসী ভাই মকবুল হোসেন জানান, আমার ছোট বোন সে নাগেশ্বরী কলেজে অনার্সে পড়তেছে করোনা ভাইরাসের কারণে এসে বাড়ীতে এসে  হাঁসের খামার দিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করাসহ এলাকার কর্মহীন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা চেষ্টা করছে।

ভাতিজা আহসান হাবীব জানান, আমার ছোট ফুফু আখি উনি অবসর সময়ে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একটি হাঁসের খামার তৈরি করছেন উদ্যোগী ও স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমরা তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই পাশাপাশি আমরা যারা এলাকার বেকার যুবক আছে তার এই প্রচেষ্টাকে দেখে আপনার হাঁসের খামার করার উদ্যোগী হচ্ছি। তবে সরকার যদি তাকে একটু সাহায্য সহযোগিতা করে তবে সে আরো ভালো কিছু করতে পারবে বলে আমার মনে হচ্ছে।

আমি আরিফা সুলতানা আখিঁ আমি অনার্স থার্ড ইয়ারে পড়ি করোনা ভাইরাসের কারনে আমার কলেজ বন্ধ, তাই ভাবলাম বাডীতে বসে থাকার চেয়ে একটি হাঁসের খামার করি, তাই আমি ওলিপুর ধরণী বাড়ি থেকে কিছু বেইজিং হাঁসের বাচ্চা নিয়ে এসে হাঁসের খামার করলাম। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা শুধু আমার নিজে জন্য নয় এর মাধ্যমে যেন আমি এলাকার মানুষে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে করতে পারি।

সোনালীনিউজ/জেএ/এসআই