পদ্ম বিলে নৌকা চালিয়ে বাড়তি আয়

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০, ০৬:১০ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের ধর্মনগর গ্রামের কালিবাড়ি বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নিয়েছে পদ্ম ফুল। আর এই পদ্ম ফুল যেন প্রকৃতিকে সেজেছে এক অপরূপ সৌন্দর্যে।

সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই জেলাসহ দেশের  বিভিন্ন স্থান থেকে ভ্রমণ পিপাসু লোকজন এখানে ভিড় করছেন।  কেউ স্ত্রী পুত্র নিয়ে, কেউ বা এসেছেন পরিবারের সদস্য নিয়ে ,আবার কেউ বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন নিয়ে এখানে বেড়াতে আসেন। সকাল ও বিকাল বেলা তরুণ তরুণীরা আড্ডা , নৌকা চড়া, আনন্দ আর হৈচৈ করে। ভ্রমণ পিপাসুরা যেন মাতিয়ে তুলেন পুরো এলাকা।

সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীদের বিল জুড়ে পদ্মফুলের সাথে ছবিতোলে ঘুরে বেড়ানো যেন নৌকা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম নেই।

এদিকে স্থানীয় বেশ কিছু তরুণ যুবক, ছাত্র, কৃষক  পদ্মা বিলে দর্শনার্থীদের ঘুড়ে বেড়ানোর জন্য নৌকা চালিয়ে তারা বাড়তি আয় করছেন। এক একজন নৌকা চালক দৈনিক ১হাজার টাকার উপর আয় করছেন।  আখাউড়া থেকে ৮ কি:মি: দুরে কালিবাড়ি পদ্ম বিলটি অবস্থিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছেন স্থানীয় তরুণ যুবক, ছাত্রসহ অন্ত:ত ২০-২৫ জন । নয়নাভিরাম প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে সকাল- বিকাল বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন ভ্রমন পিপসু লোকজন। আগত লোকজন নৌকা দিয়ে  মনের আনন্দে ঘুরে প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অবলোকন করছেন।  নৌকা আকাড় ছোট হওয়ায় এক একটি নৌকায় ৪-৫ জন ভ্রমনকারী উঠছে। ঘন্টা প্রতি নিচ্ছে ২শত টাকা।

নৌকা চালক মো. মুছা মিয়া বলেন, এমনিতে তিনি কৃষি কাজ করেন। কাজের ফাঁকে এখানে নৌকা চালিয়ে দৈনিক ৭-৮শ টাকা আয় করছেন।

আলম মিয়া বলেন, গত ১ মাসের উপর ধরে তিনি পদ্ম বিলে নৌকা চালাচ্ছেন। সকাল বিকাল নৌকা চালিয়ে ১ হাজার টাকার উপর আয় হয়।  ফরিদ মিয়া বলেন, আগে শ্রমিকের কাজ করা হতো। কিন্তু  এখানে দিন দিন লোকজনের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকার চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই এখানে নৌকা চালিয়ে ভালো টাকা আয় করছেন বলে জানায়।

বিজয়নগর থেকে আসা মো. আল মামুন  বলেন, লোকমুখে শুনে স্ত্রী ও ১ মেয়ে নিয়ে এখানে আসা। ১ ঘন্টার জন্য ২শ টাকায় একটি নৌকা ভাড়া করে ঘুরা হয়। পদ্মফুল দেখে খুবই ভাল লাগছে বলে জানায়। তিনি আরো বলেন সারি সারি ফুল এভাবে কখনও দেখিনি। মো. আলাউদ্দিন বলেন, বন্ধুদের নিয়ে এখানে পদ্ম বিলে চলে আসা। মুক্ত বাতাস আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে নৌকা চড়া সত্যিই খুবই ভালো লাগেছে। তিনি বলেন প্রায় দু ঘন্টা ঘুরে নৌকা চালককে ৪শ টাকা দিতে হয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, পদ্ম বিল দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা আসছেন। বিনোদন প্রিয় লোকদের কাছে এই স্থানটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বর্ষা মৌসুমে এ বিলে প্রাকৃতিক ভাবে জন্ম নেওয়া পদ্মফুল  এক দিকে যেমন বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে পাশাপাশি দর্শনার্থীদেরকেও মুগ্ধ করছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই