সবুজে সবুজে খালাজুড়া-আনোয়ারপুর সড়কে সৌন্দর্য বাড়ছে

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৮, ২০২১, ০৮:৪৮ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : সড়কে দু’ধারে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তায় শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নানা প্রজাতির গাছ। রাস্তায় লাগানো গাছে দিন দিন বাড়ছে সবুজ সবুজের সৌন্দর্য । সড়কের দু’ধারে দৃষ্টিনন্দন গাছে প্রকৃতি যেন সেজেছে তার এক নতুন রূপে। বাতাসে দোলা খাচ্ছে নানা প্রজাতির গাছগুলো । সেই সাথে মানুষের মনকে যেন রাঙিয়ে তুলছে।নয়নাভিরাম দৃশ্যে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হচ্ছেন পথচারীসহ দর্শনার্থীরা। এমন দৃশ্য দেখা যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার উত্তর ইউনয়নের খালাজুড়া -আনোয়ারপুর সড়কে। রাস্তার দু’ধারে দৃষ্টিনন্দন শতশত গাছ দাঁড়িয়ে থাকায় পথচারীদের পাশপাশি মুক্ত মনে সকাল বিকাল এই রাস্তা দিয়ে হাটা চলা করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।

উপজেলার উত্তর ইউনয়নের খালাজুড়া -আনোয়ারপুর সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে অবহেলিত ছিল। সড়কটি সংস্কার করার পর প্রাণ ফিরে পায়। এই সড়কটি দিয়ে আনোয়ারপুর,কল্যাণপুর, খালাজুড়া,সহ অন্ত:ত ৬টি গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে চলাচল করছে। বন বিভাগের উদ্যোগে এই সড়কে ৩ হাজার গাছর চারা লাগানো হয়েছে। বর্তমানে এক একটি গাছ ১২ থেকে ১৫ ফুল উচ্চতা হয়েছে। আকা বাকা সড়কে গাগুলোকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এই দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য দেখে সড়কে চলচলকারীসহ সবাই যেন মুগ্ধ হয়ে যায়।

এদিকে খালাজুড়া -আনোয়ারপুর বিলের উপর দিয়ে রাস্তা হওয়ায় চারদিকের মুক্ত বাতাস পথচারিদের নজর কাড়ছে। পথচারীদের চলাচলের পাশাপাশি সকাল-বিকাল পড়ন্ত বিকালে নানা বয়সি লোকদের হাটা চলা করতে দেখা যায়।

কল্যাণপুর গ্রামের মুছা মিয়া বলেন, রাস্তার দু’পাশের দৃষ্টিনন্দন গাছগুলো সবুজ সৌন্দর্য আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। এখন প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া এই নিরিবিলি সড়কে দুরদুরান্তের লোকজন এসে অবসর সময় কাটাচ্ছেন।

পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার মো. মোবারক হোসেন বলেন, এক সময় দুদিকের রোদ থাকায় হাটা চলা করা খুবই কষ্ট হতো। বর্তমানে রাস্তায় দ’ুপাশে গাছগাছালি থাকায় নিরাপদে চলাচল করতে খুবই ভালো লাগছে। এখন নিয়মিত ভাবে সকাল বিকাল এই রাস্তা দিয়ে হাটা চলা করছি।

গৃহিনী বিলকিস বেগম বলেন, তার ডায়াবেটিক হওয়ায় প্রতিদিন হাটতে হয়। এই সড়কটি নিরাপদ হওয়ায় হাটাচলা করতে খুবই ভালো লাগে।

আনোয়ারপুর গ্রামের মিজান মিয়া বলেন, আমাদের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ রাস্তা। তাছাড়া রাস্তার দু’ধারে গাছপালা থাকায় এরগুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বহু দুর দুরান্তের লোকজন এই রাস্তার পাশে বসে গল্প ও হাটা চলা করে থাকে।

উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১২ সালে রাস্তাটি সংস্কার করার পর উপজেলা বন বিভাগের উদ্যোগে পরিকল্পিতভাবে রাস্তার দুধারে মেহগনি, অর্জুন, বেলজিয়াম, জামগাছসহ নানা প্রজাতির সাড়ে ৩ হাজার গাছের চারা লাগানো হয়। এতে খরচ হয় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। গাছগাছালি সঠিকভাবে পরিচর্যার জন্য মাসিক বেতনে পাহারাদার রাখা হয়ে ছিল। যার কারনে গাছের কোন ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে দিন দিন বাড়ছে সবুজ সৌন্দর্য আর দৃষ্টি নন্দনে পরিণত হয়ে উঠেছে এই সড়কটি।

উপজেলার উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর হান্নান ভূইয়া স্বপন বলেন, খালাজুড়া- আনোয়ারপুর সড়কটি গোটা ইউনিয়নের মধ্যে খুবই সুন্দর ও দৃষ্টি নন্দন সড়কে পরিণত হয়েছে । দু’পাশে সারিবদ্ধ ভাবে লাগানো নানা প্রজাতির গাছে এখানকার পরিবেশকে অন্য রকম করে তুলেছে। গাছগুলো রাস্তার পাশে বর্তমানে শোভাবর্ধন দাঁড়িয়ে যা মানুষকে ছাঁয়া দান করে যাচ্ছেন। মানুষ যাকে রাস্তার পাশে বসে গল্প করতে পারে এবং নিরাপদে হাটাচলা করতে পারে সে জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সকলের উচিত এসব ধরনের গাছ লাগানো। গাছ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং গাছ আমাদের পরম বন্ধু।

সোনালীনিউজ/এমটিআই