অস্ট্রেলিয়ার নারীরা যৌনান্দের জন্য কেন পুরুষ ভাড়া করছেন?

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৭, ০১:৫৯ পিএম

ঢাকা: যৌনান্দের জন্য পুরুষরা নারীদের ভাড়া করেন এ কথা সবারই জানা। তবে এমন ধারণা এখন পাল্টে দিয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের নারীরা- বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকায় নারীরা যখন যৌনতার জন্য পুরুষের পিছনে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছেন। 

হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই নারীরা ২০ থেকে ৪৫ বছর বয়সী পুরুষ যৌনকর্মী আধা ঘণ্টার জন্য ভাড়া করেন অস্ট্রেলিয়ান ৩৬০ ডলারে; যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় ২২২৫০ টাকা।

নিউজ অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, যৌনকর্মীরা মোবাইলের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়ে নারী ও পুরুষের কাছে তাদের বিজ্ঞাপন করেন- যার শিরোনাম হয় ‘অভিজ্ঞ বয়/গার্লফ্রোন্ড’ অথবা ‘যৌনসঙ্গী বুকিং করুন’। এছাড়াও, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং মোবাইল অ্যাপস তৈরি করে নারী ও পুরুষের কাছে যৌন ব্যবসা চালাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন যৌন এজেন্সি। শুধু এই যৌনকর্মীদের পিছনে বছরে লাখ লাখ কোটি ডলার ব্যয় করছে অস্ট্রেলিয়ানরা।

হাফিংটন পোস্টের ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিয়ের পর স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে নানা কারণে ভুল বোঝাবুঝিতে প্রতি বছরই অনেক ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে দেশটিতে। যার ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন অনেক নারী, তখন অবসাদে ভোগেন তারা। অাগের জীবনে ফিরে যেতে চান, কিন্তু তা সম্ভব হয়ে পড়ে না। অবশেষে তারা টাকার বিনিময়ে যৌনসঙ্গী গ্রহণ করে।  

আবার এমন অনেক নারী আছেন, যারা বার কিংবা নাইটক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌনতা উপভোগের জন্য তারা ‘এসকর্ট এজেন্সির’ (যৌনকর্মী ও খদ্দেরদের মধ্যস্থকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন। এসব এজেন্সির কাছে ‘এসকর্ট’ চাইলেই তারা নারী গ্রাহকদের কাছে তাদের পাঠিয়ে দেয়।

শুধু যে নারীরাই এসব কারণে সঙ্গী খোঁজেন তা নয় পুরুষরাও পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এমন সঙ্গী খোঁজেন। নিউজ অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির ৫৮ বছর বয়সী পুরুষদের ৯০ শতাংশই আধা ঘণ্টার জন্য যৌনসঙ্গী পেতে প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে থাকেন।  

মিস রবিনসন (ছদ্মনামের) এক যৌনকর্মী জানান, তাদের যখন কোনো খদ্দের ডাকে- ‘তখন যতদূরপারি আমরা উত্তম সেবা দিয়ে থাকি। তারা যেভাবে চায় সেভাবেই আমরা আনন্দ দেই। যখন কোনো খদ্দের তার গার্লফ্রেন্ডের অভিনয় করতে বলে আমরা তাই। এক্ষেত্রে অনেকদিন সময় নিতে হয়।’

এমনি যৌনসেবা চালু রয়েছে যুক্তরাজ্যেও, ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। এখানে ছেলেদের মতো মেয়েরাও তার ভোক্তা। তাদের জন্য তিনি বিলাসবহুল এবং বড় আকারের বাংলো বাড়ির ব্যবস্থা করেন। যেটি শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে। ফরাসী বাংলোর মতো দেখতে এসব বাড়ির ভেতরে কী চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই।

নিকোল বলেন, ‘নারী ক্লায়েন্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এটা তাদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গোপনীয়তা তাদের জীবনেরই অংশ।’ ছেলে যৌনকর্মীরা জানেন, তাদের সব নারীভোক্তা অবিবাহিত বা একাকী নন। এমনই একজন বলেন, কিছু নারী মনে করেন যৌনতার জন্য অর্থ ব্যয় কোনো প্রতারণা নয়। এটি প্রেম বা এরকম অন্যান্য সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই