শাপলায় চলে স্ত্রীর চিকিৎসা, শাপলায় চলে সংসার

  • মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০১৮, ০৯:২৬ এএম

ঝালকাঠি: ঘরে অসুস্থ স্ত্রী। প্রতিদিন একশ টাকার ওধুষ লাগছে। এদিকে বর্ষাকাল তাই কাজকর্ম কম দিনমজুর বাদলের। তবে এ বর্ষাই আবার পাশে দাড়িয়ে তার।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার দেউলকাঠি এলাকার বাসিন্দা মো. বাদল। বয়স পঞ্চাশের কোটায়। সোজাসাপটা দিনমজুর বাদল সবারই চেনাজানা। দিনমজুর হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তার প্রত্যান্ত অঞ্চলের ৩০ গ্রামে। যখন যে কাজ মেলে তখন সেটাই করে সে। সহজ সরল বলে আনেক সময় মালিক পক্ষের কাছে ঠকে মজুরি ছাড়া  কেবল চা-রুটিতেও দিন পাড় হয় তার।

এদিকে ঝালকাঠির বেশির ভাগ এলাকায় বর্ষাকালে চার থেকে পাঁচ মাস কৃষি জমি পানির নীচে তলিয়ে থাকায় এ মৌসুমে কৃষকের কাজ কমে যায়। বদলও তাই অনেকটা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাজ নেই তারও।

কিন্তু সংসার চলবে কী করে। তারওপর স্ত্রীর চিকিৎসা। প্রতিদিন শতেক খানেক টাকার ওষুধ লাগছে। তবে প্রতিবন্ধকতার সেই বর্ষাই আবার বাদলের পাশেও দাড়িয়েছে অবশেষে।

এখন ভরা বর্ষায়  পিংড়িসহ আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানে জন্ম নিয়েছে শাপলা। আর তা সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে বাদলের চলছে সংসার।

বাদল জানান, কাকডাকা ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০টি শাপলার আটি সংগ্রহ করেন তিনি। ৪০ থেকে ৫০টি শাপলায় এক আটি হয়। এভাবে দিন শেষে দু’শ টাকা থেকে তিন’শ টাকায় তা বিক্রি করেন তিনি। আর তা দিয়েই এখন স্ত্রীর ওষুধ এবং সংসার চলছে তার।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন