আলুর বাম্পার ফলন : কৃষক নয়, লাভবান মধ্যস্বত্বভোগীরা

  • ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০১৯, ০৩:২৪ পিএম
ছবি : সোনালীনিউজ

দিনাজপুর : জেলার ৪৮ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে এবারে বাম্পার আলুর ফলন হয়েছে। জেলার চাহিদা পূরণ করে অতিরিক্ত অর্জিত আলু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে।

আলু চাষের মৌসুমের শুরু থেকে অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ, রাসায়নিক সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ থাকায় এবারে জেলায় কৃষকরা উচু-নিচু প্রায় সম্ভাব্য আলু চাষযোগ্য জমিতে চাষীরা আলু চাষ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্টারিজ, ক্যারেজ, লেডিরোসেডা, পেটনিস জাতের আলু কৃষকরা বেশি করে চাষ করেছে। এসব জাতের আলুর অধিক ফলন হওয়ায় কৃষকদের আলুর বীজ বোপন করতে কৃষি বিভাগ উৎসাহ দিয়েছে।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর জানান, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ৪৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। উৎপাদনে ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৮ লক্ষ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। লক্ষ্যমাত্রা অতিরিক্ত ৫ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। অর্জিত আলু থেকে উৎপাদন হয়েছে ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ২৮০ মেট্রিক টন। জেলার ১৩টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়ন এবং ৯টি পৌরসভায় বছরে আলুর চাহিদা প্রায় ৫ লক্ষ মেট্রিক টন। অতিরিক্ত উৎপাদিত ৪ লক্ষ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন আলু জেলার বাহিরে সরবরাহ করা হচ্ছে।

আলু চাষি জমি থেকে আলু তুলতে যে শ্রমিক খরচ বহন করতে হিমশিম খায়, তাছাড়া জেলার বাহিরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তারা স্থানীয় মধ্যভোগী আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করে ফলে তাদের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যভোগী আলু ব্যবসায়ীরা। আলু চাষি মকবুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ আলুর বাজারে আলুর দাম কম হওয়ায় তেমন বেশি লাভ হবে না, গত কয়েকদিন আগে আলু বাজার ছিল ২ হাজার ৯০০ টাকা বস্তা এখন আলু বিক্রয় হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা বস্তা।

আলু চাষি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ দিয়েছি এখনো আলু তোলা হয় নাই, সম্পূর্ণ আলু তোলার পর বুঝা যাবে লাভ না ক্ষতি। অনেক আলু চাষি তাদের জমি থেকে সরাসরি মধ্যভোগী আলু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করার কারণে তারা বেশি একটা লাভ করতে পাচ্ছে না। আলু চাষি রশিদুল আলম বলেন, এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করলে ২০ বস্তা আলু হয়। ২০ বস্তা আলু বিক্রয় করলে ৪০ হাজার টাকা বিক্রয় হবে সব খরচ বাদ দিলেও বিঘায় ৩০ হাজার টাকা লাভ টিকে।

মধ্যভোগী আলু ব্যবসায়ী মামুন আলী বলেন, আমরা কৃষকের জমি থেকে কম দামে আলু কিনে জমি থেকে ভ্যানে করে নদীতে নিয়ে এসে ধুয়ে বস্তা করি এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় করি। এখানে শ্রমিক খরচ দিয়ে মোটামুটি ভালোই লাভ হয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর